অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি যখন ছন্দে ফিরছিল, ঠিক তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যা সরবরাহ ব্যবস্থাকে নতুন ভাবে বিঘ্নিত করে। ফলে মূল্যবৃদ্ধি এবং তাকে ঠেকাতে সুদের হার মাথা তোলায় ফের গতি হারায় আর্থিক অগ্রগতি। এ বার পশ্চিম এশিয়ার অশান্তি বিশ্ব অর্থনীতিকে নতুন প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল। আজ ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক’ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ) জানিয়েছে, ইজ়রায়েল-হামাস সংঘর্ষ বিশ্বকে নতুন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। বলেছে, চলতি অর্থবর্ষে বিশ্বের জিডিপি ৩% হারে বাড়লেও ২০২৪ সালে সেই গতি আরও কমে ২.৯% হতে পারে। চলতি অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস অবশ্য ২০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬.৩% করা হয়েছে। তবে সেটাও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাসের (৬.৫%) চেয়ে কম।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অতিমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-সহ বিভিন্ন ধাক্কা বিশ্ব অর্থনীতি থেকে মোট ৩.৭ লক্ষ কোটি ডলারের সম্পদ মুছে দিয়েছে। দিন কয়েক আগে নতুন দুশ্চিন্তা হিসেবে মাথা তুলতে শুরু করেছিল তেলের দাম। এ বার শুরু হয়েছে পশ্চিম এশিয়ার সংঘর্ষ। সঙ্গে রয়েছে তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেকের উৎপাদন ছাঁটাইয়ের হুঁশিয়ারি। আইএমএফের মুখ্য অর্থনীতিবিদ পিয়ের অলিভিয়ে গুয়াশার বক্তব্য, ‘‘দৌড়নো তো দূরের কথা, বিশ্ব অর্থনীতি এখন খোঁড়াচ্ছে।... পশ্চিম এশিয়ায় তেল উৎপাদন অথবা পরিবহণের ঝুঁকি আশঙ্কা বাড়ছে। তেলের দাম ১০% বাড়লে বিশ্বের জিডিপি বৃদ্ধির হার ১৫ বেসিস পয়েন্ট কমবে। মূল্যবৃদ্ধি বাড়বে ৪০ বেসিস পয়েন্ট।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)