রাজ্যের একাধিক গ্রাহকের কাছে মোটা টাকা বকেয়া রয়েছে। ফলে চিন্তায় পড়েছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি)। শুক্রবার বণিকসভামার্চেন্টস চেম্বারের অনুষ্ঠানে সংস্থার চেয়ারম্যান এস সুরেশ কুমার জানান, এ রাজ্যের ৬৮টি বেসরকারি সংস্থার থেকে ডিভিসি পায় প্রায় ৫৩০ কোটি টাকা। এই তালিকায় রয়েছে মূলত ইস্পাত কারখানা, রোলিং মিল, স্পঞ্জ আয়রনের মতো সংস্থা। তাঁর দাবি, এই বকেয়া না পেলে আগামী দিনে কয়লা কেনায় সমস্যা হতে পারে ডিভিসি-র। উল্লেখ্য, গত মে মাসে সংস্থাগুলির কাছে বকেয়া ছিল প্রায় ৬০০ কোটি।
সুরেশের অভিযোগ, বহু গ্রাহক সময়ে বিদ্যুতের মাসুল মেটায় না। তার পরে যখন তার সঙ্গে সুদ যুক্ত হয়, তখন তারা আদালতে চলে যায়। এই প্রবণতা দীর্ঘদিনের। তবে এই বকেয়ার পুরোটাই পশ্চিমবঙ্গের সংস্থাগুলির। ঝাড়খণ্ডের কারও কাছে বকেয়া নেই।তিনি বলেন, ‘‘বকেয়া ২০১৭-২০২১ সালের। আইন-আদালত-কমিশন করেবিষয়টি জটিল করে তোলা হয়েছে।’’
তিনি আরও জানান, তিন বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৩,০০০ মোগাওয়াটে নিয়ে যেতে প্রায় ৬৬,০০০ কোটি টাকা ঢালবে ডিভিসি। এখন তা ৬৭১৫ মেগাওয়াট। এই সময়ে ৫ কোটি টন কয়লা উত্তোলনও লক্ষ্য সংস্থার। এই লক্ষ্য পূরণ হলেই, কয়লার জন্য আর কোল ইন্ডিয়ার উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না ডিভিসি-কে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)