ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নির্ভর বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করলেন অর্থনীতিবিদ তথা সরকারি নীতি বিশ্লেষক জেফ্রি স্যাক্স। সেই সঙ্গে আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে গিয়ে ভারতকে ‘ডিগবাজি’ না খাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।
শনিবার এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকার এই প্রবীণ অর্থনীতিবিদ তাঁর দেশের বাণিজ্য ঘাটতি, আর্থিক নীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে তার প্রভাবের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাণিজ্য ঘাটতির জন্য অন্যান্য দেশকে দায়ী করছেন। আমদানি শুল্ক চাপাচ্ছেন তাদের উপরে। কিন্তু বাণিজ্য সম্পর্কে তাঁর এই ধারণা ‘নাটকীয় ভাবে ভুল’ এবং ‘হাস্যকর রকমের অতিসরলীকৃত’। আমেরিকা এখন সাধ্যের তুলনায় খরচ করছে বেশি। তাতে বাজেট ঘাটতি চওড়া হচ্ছে। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে গেলে আগে বাজেট ঘাটতি কমাতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন আর্থিক শৃঙ্খলা। যা ট্রাম্পের নীতিতে অনুপস্থিত। স্যাক্সের দাবি, ট্রাম্পের ‘বড় ও সুন্দর বিল’-এ সরকারি খরচ আরও বৃদ্ধির ইঙ্গিত স্পষ্ট। ট্রাম্পের শাসনে এখনকার আমেরিকাকে ‘মিকি মাউসের দেশ’ বলেও চিহ্নিত করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গক্রমে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা নিয়েও মুখ খুলেছেন অর্থনীতিবিদ। জানিয়েছেন, আমেরিকার ‘ফাঁদে’ পা দিয়ে তাদের বেশি সুবিধা দেওয়া ঠিক হবে না। সমস্ত বাণিজ্য সহযোগীর ক্ষেত্রে নীতি অভিন্ন হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের সামনে নিশ্চয়ই একাধিক দরজা খোলা রয়েছে। তাদের আমেরিকাকে তুষ্ট করার জন্য ডিগবাজি খাওয়া উচিত হবে না। আমেরিকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাভোগী দেশের ধারণাটিকে অপমান করেছে। ফলে ভারতকে এ ব্যাপারে সতর্কথাকতে হবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)