সোমবার মধ্যরাত থেকে টানা বৃষ্টিতে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে বেশ কিছু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের পরিকাঠামো ও রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতিকে ফের বেআব্রু করেছে বলেই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। তাদের মতে, প্রতি বছর বেশি বৃষ্টি হলেই জমা জলে বিদ্যুতের খোলা তার বহু মানুষের প্রাণ নেয়। কিন্তু শিক্ষা নেয় না সংস্থাগুলি। তবে বিদ্যুৎমহলের বক্তব্য, পুরো দায় কি পর্ষদ বা সিইএসসির? তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। তবে দুর্ঘটনা ব্যক্তিগত পরিসরে ঘটলে দায় কি তাদের উপর বর্তায়?
পুরো দায় ঘাড়ে নিতে নারাজ সিইএসসি-র কর্তা অভিজিৎ ঘোষও। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অ্যাবেকার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “প্রতি বছর এটাই দস্তুর। কিছু লোক মারা যান। কিন্তু সিইএসসি দায় নেবে না। সেন্সিং সার্কিট ব্রেকার লাগালে ও রক্ষণাবেক্ষণ করলে দুর্ঘটনা এড়ানোযেত।” তবে অভিজিৎ মানছেন, এত বৃষ্টিতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে মঙ্গলবার সকাল থেকে সিংহভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ৭৫-৮০ শতাংশ অঞ্চলে তা ফিরেছে।
সুব্রতর অভিযোগ, এমন সঙ্কটেই পরিকাঠামো অভাব ধরা পড়ে। সামনে আসে সতর্ক না থাকার বিষয়টিও। সিইএসসি-র ইডি-র দাবি, পরিকাঠামো যথেষ্ট। রক্ষণাবেক্ষণেরও অভাব নেই। এ দিনের দুর্ঘটনাকে সংস্থার গাফিলতি বলা যাবে না। পুজোর কাজের জন্য সমস্যা বেড়েছে বলেও মানেননি তিনি। তাঁর কথায়, “কড়া নজরদারি চলছে। ছোট দলে ভাগ হয়ে ৫০০০-এর বেশি কর্মী কাজ করছেন। কন্ট্রোল রুমে বা সমাজমাধ্যমে সমস্যা জানানো যাবে।” অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ পর্ষদঅবশ্য রাত পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)