E-Paper

১.৪ শতাংশ কমল 'হোয়াইট কলার জব', উদ্বেগ বাড়িয়ে চাকরি কমল শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তিতেও

দোল এবং ইদের দীর্ঘ সপ্তাহান্তের ফলে নিয়োগে কিছুটা ভাটা প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু খুচরো ব্যবসা, তেল-গ্যাস ও শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ বিপুল ভাবে কমে যাওয়া উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:২৭
কায়িক পরিশ্রম কম এবং মানসিক চাপ বেশি, এমন মাঝারি থেকে উঁচু পদের চাকরিই ‘হোয়াইট কলার জব’ হিসেবে পরিচিত।

কায়িক পরিশ্রম কম এবং মানসিক চাপ বেশি, এমন মাঝারি থেকে উঁচু পদের চাকরিই ‘হোয়াইট কলার জব’ হিসেবে পরিচিত। —প্রতীকী চিত্র।

কর্মসংস্থান নিয়ে মোদী সরকার যে দাবিই করুক না কেন, আর্থিক বৈষম্য সম্পর্কে বিভিন্ন উপদেষ্টা সংস্থার রিপোর্ট সেই দাবির সামনে প্রশ্নচিহ্ন ঝুলিয়েছে। সেই উদ্বেগ আরও বাড়াল নিয়োগকারী ও কর্মপ্রার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করিয়ে দেওয়ার পোর্টাল ‘নওকরি ডট কম’-এর সমীক্ষা। তাদের মার্চের রিপোর্টে দাবি, ২০২৪ সালের মার্চের তুলনায় গত মাসে পেশাদার সংস্থায় কিছুটা উঁচু পদের চাকরিতে (হোয়াইট কলার জব) নিয়োগ ১.৪% কমেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, দোল এবং ইদের দীর্ঘ সপ্তাহান্তের ফলে নিয়োগে কিছুটা ভাটা প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু খুচরো ব্যবসা, তেল-গ্যাস ও শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ বিপুল ভাবে কমে যাওয়া উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

কোনও সংস্থার দফতরে কায়িক পরিশ্রম কম এবং মানসিক চাপ বেশি, এমন মাঝারি থেকে উঁচু পদের চাকরিই ‘হোয়াইট কলার জব’ হিসেবে পরিচিত। এগুলিতে বেতন বেশি।

পোর্টালে সংস্থাগুলির দেওয়া নতুন নিয়োগের তথ্য এবং কর্মপ্রার্থীদের আবেদনের উপরে ভিত্তি করে ‘নওকরি জব স্পিক’ সূচক তৈরি করে ‘নওকরি ডট কম’। শেষ রিপোর্টে বলছে, খুচরো ব্যবসা (১৩%), তেল ও গ্যাস (১০%) এবং শিক্ষা (১৪%) ক্ষেত্রে নিয়োগ তো কমেছেই, তা মাথা নামিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি (৩%) ক্ষেত্রেও। উল্টো দিকে মুখ রক্ষা করেছে ক্রিপ্টো এবং ব্লকচেনের মতো তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের নবীনতম উপশাখাগুলি। সেখানে নিয়োগ বেড়েছে ৩৬%। তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক স্টার্ট-আপেও প্রায় ১১% কর্মসংস্থান বেড়েছে। নওকরির চিফ বিজ়নেস অফিসার পবন গয়াল বলেন, ‘‘ছুটিতে দীর্ঘ সপ্তাহান্ত থাকায় কিছুটা আশঙ্কা ছিল। সূচকেও তেমনই প্রতিফলিত হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র স্থিতিশীল ছিল।’’

সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের কথা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, নতুন কাজের পাশাপাশি, যথেষ্ট সংখ্যায় উন্নত মানের কাজ তৈরির প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। যেখানে ভাল অঙ্কের বেতন মিলবে। খরচের ক্ষমতা বাড়বে মধ্যবিত্তদের। সেই ক্রয়ক্ষমতাই শিল্প ক্ষেত্রকে চাঙ্গা রাখবে। কিন্তু এই রিপোর্টে ধরা পড়ছে সম্পূর্ণ অন্য ছবি।


(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

IT Sector Unemployment

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy