Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Interest Waiver

ঋণ বন্ধ হলে সেভিংস বা কারেন্ট অ্যাকাউন্টে টাকা

মোরাটোরিয়ামের সময়ে সর্বাধিক ২ কোটি টাকার ঋণে সুদের উপরে সুদ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা শুরু করেছে ঋণদাতারা।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৩৮
Share: Save:

ঋণের কিস্তি স্থগিত থাকার (মোরাটোরিয়াম) সময়ে সুদের উপরে সুদ মকুবের নির্দেশিকা অনুসারে, গ্রহীতার নির্দিষ্ট ঋণ (লোন) অ্যাকাউন্টে ছাড়ের টাকা জমা পড়ার কথা। এ জন্য কাউকে আলাদা করে আবেদন করতে হবে না বলে স্পষ্ট করেছে অর্থ মন্ত্রক। ঋণদাতা ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের কাছে থাকা তথ্য থেকেই ছাড় বাবদ টাকা এক্সগ্রাশিয়া হিসেবে যোগ্য ঋণগ্রহীতাদের অ্যাকাউন্টে জমা দেবে। মন্ত্রক জানিয়েছে, ১ মার্চের পরে কারও ঋণ শোধ ও লোন অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে থাকলে ওই ব্যাঙ্কে তাঁর সেভিংস বা কারেন্ট অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা পড়বে। আর যদি ওই ঋণদাতা ব্যাঙ্কে গ্রাহকের কোনও অ্যাকাউন্টই না-থাকে, সে ক্ষেত্রে তিনি যে অ্যাকাউন্টের তথ্য দেবেন, সেখানে টাকা পাঠাবে ঋণদাতারা। এ ক্ষেত্রে ১ মার্চ থেকে ঋণ অ্যাকাউন্ট বন্ধের তারিখ পর্যন্ত এক্সগ্রাশিয়া হিসেব হবে।

মোরাটোরিয়ামের সময়ে সর্বাধিক ২ কোটি টাকার ঋণে সুদের উপরে সুদ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা শুরু করেছে ঋণদাতারা। ১ মার্চ থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত সুদের উপরে সুদ (কম্পাউন্ড ইন্টারেস্ট) থেকে সাধারণ সুদ (সিম্পল ইন্টারেস্ট) বাদ দিলে যে অঙ্ক দাঁড়াবে, তা গ্রহীতার ঋণ অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প, শিক্ষা, গৃহ, দীর্ঘমেয়াদি ভোগ্যপণ্য, গাড়ি, ব্যক্তিগত, কেনাকাটার জন্য নেওয়া ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের ধার— এই আটটি শ্রেণির ঋণে এই সুবিধা মিলবে। কিন্তু তার পরেও গ্রাহকদের মনে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তির সমাধান করতেই প্রশ্নোত্তর প্রকাশ করেছে মন্ত্রক।

বলা হয়েছে, গাড়ি ঋণে এই ছাড় মিললেও, তা পাওয়া যাবে না ট্রাক্টর কিনতে নেওয়া ঋণে। কারণ তা কৃষিঋণের আওতায় পড়ে। একাধিক ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিলে, সব ধার মিলিয়েই ২ কোটির হিসেব করা হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি কোথা থেকে ধার নিয়েছেন, তা ঋণদাতারা নিজেদের ও ক্রেডিট ব্যুরোর কাছে জমা রাখা তথ্য থেকেই জেনে নেবে।

সেই সঙ্গে কেন্দ্র জানিয়েছে, ছাড় হিসেবের সময়ে গৃহ-শিক্ষা-গাড়ি ইত্যাদি মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে চুক্তিতে উল্লিখিত সুদ প্রযোজ্য হবে। কিস্তিতে ভোগ্যপণ্য কেনার মতো কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুদ মেটানোর দায় না-থাকলে এমসিএলআর অথবা বেস রেটের ভিত্তিতে এক্সগ্রাশিয়া স্থির হবে। আর ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ভিত্তি হবে ওয়েটেড অ্যাভারেজ লেন্ডিং রেট।

সুদ ছাড় নিয়ে অভিযোগ থাকলে, তা সংশ্লিষ্ট ঋণদাতার সাইটে জানাতে পারবেন গ্রাহক। এ ছাড়া তাদের শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা যাবে।


সুদের উপরে সুদ মকুব

• ২৯ ফেব্রুয়ারি চালু থাকা ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণে এই সুবিধা মিলবে।

• তার পরে ধার নিলে তা পাওয়া যাবে না। তেমনই ওই দিনের আগে মঞ্জুর হওয়া কিন্তু পরে হাতে আসা ঋণেও এই সুবিধা নেই।

• ২৯ ফেব্রুয়ারির আগে ঋণের একাংশ বণ্টন হলে, শুধু সেই টাকার ক্ষেত্রেই এই সুবিধা মিলবে। তার পরে বণ্টন হওয়া ধারে নয়।

• এ জন্য আবেদন করতে হবে না। নিজে থেকে যোগ্য গ্রাহকের ঋণ অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে টাকা।

• যার হিসেব হবে ১ মার্চ থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত।

• ১ মার্চের পরে ঋণ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হলে, টাকা জমা পড়বে ঋণদাতা ব্যাঙ্কে থাকা গ্রাহকের সেভিংস বা কারেন্ট অ্যাকাউন্টে।

• ওই ব্যাঙ্কে সেভিংস বা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট না-থাকলে, গ্রাহকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হবে।

• এ ক্ষেত্রে সুদ মকুবের হিসেব হবে ১ মার্চ থেকে

অভিযোগ কী ভাবে

• ঋণদাতা ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাইটে নির্দিষ্ট লিঙ্কের মাধ্যমে।

• তাদের শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন ঋণগ্রহীতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Interest Waiver Finance Monistry Economy Loan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE