Advertisement
E-Paper

ভয় কাটানোর দাওয়াই অর্থ মন্ত্রকের

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:১৬
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।—ছবি পিটিআই।

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।—ছবি পিটিআই।

ঋণ দেওয়ার পরে তা অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হলেও ব্যাঙ্ক-কর্তারা যাতে অযথা হেনস্থার শিকার না-হন, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করল অর্থ মন্ত্রক। এখন থেকে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অধস্তন কর্মীদের দোষে বড় অঙ্কের ঋণ জালিয়াতি হলে ব্যক্তিগত ভাবে এমডি বা সিইও-র দায়িত্ব থাকবে না।

বেশ কিছু দিন ধরে শিল্প মহলের অভিযোগ, অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হতে পারে এই ভয়ে বহু ক্ষেত্রে ঋণ মঞ্জুর করতে দেরি করছেন ব্যাঙ্ক অফিসারেরা। তাঁদের ওই ভয় দূর করতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, সৎ ব্যাঙ্ক অফিসারেরা অযথা যাতে হেনস্থা না-হন, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর বার্তা ছিল, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখা হবে সিদ্ধান্তটি নেওয়ার সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্মী বা অফিসারের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল কি না। না-থাকলে তিনি যাতে হেনস্থার শিকার না-হন, সেটা নিশ্চিত করা হবে।

অর্থ মন্ত্রক ঠিক করেছে যে, ৫০ কোটি টাকার বেশি কোনও ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হলে ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার বা তার উচ্চপদস্থ কোনও অফিসার প্রতারণার সঙ্গে জড়িত আছেন কি না, তা প্রাথমিক ভাবে দেখতে ওই সব কেস প্রথমে পাঠানো হবে অ্যাডভাইসরি বোর্ড ফর ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ফ্রডসের কাছে। প্রয়োজনে তদন্ত শুরু হবে খতিয়ে দেখা শেষ হওয়ার পরেই। ওই বোর্ডের মাথায় রয়েছেন প্রাক্তন ভিজিল্যান্স কমিশনার টি এম ভাসিন।

যে সব অভ্যন্তরীণ ভিজিল্যান্স কেসের ফয়সালা দীর্ঘ দিন হয়নি, সেগুলি দ্রুত শেষ করতে প্রতি ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ কর্তাদের নিয়ে কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

Nirmala Sitharaman Bank Unproductive Assets
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy