প্রতীকী ছবি।
আগামিকাল, সোমবার চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের (এপ্রিল-জুন) আর্থিক বৃদ্ধির হার প্রকাশ করার কথা কেন্দ্রের। করোনা ও তা যুঝতে হওয়া লকডাউনে আর্থিক কর্মকাণ্ড স্তব্ধ হওয়ায় ওই সময়ে জিডিপি যে সঙ্কুচিত হবে, তা এক রকম নিশ্চিত। সেই সঙ্গে অর্থবর্ষের প্রায় পুরোটা জুড়েই কর আদায় ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করে মূল্যায়ন সংস্থা ব্রিকওয়ার্ক রেটিংস। তাদের মতে, এই কারণে ২০২০-২১ সালে রাজকোষ ঘাটতি পৌঁছতে পারে ৭ শতাংশে। যা কেন্দ্রের ৩.৫ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ।
কন্ট্রোলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টসের তথ্য অনুসারে, এপ্রিল-জুনে গত বছরের তুলনায় প্রত্যক্ষ কর আদায় (ব্যক্তিগত ও কর্পোরেট মিলিয়ে) কমতে পারে ৩০.৫%। জিএসটির ক্ষেত্রে তা ধাক্কা খেতে পারে প্রায় ৩৪%। এ দিকে করোনা যুঝতে খরচ না বাড়িয়ে উপায় নেই কেন্দ্রের। হতে পারে লক্ষ্যমাত্রার ১৩.১% বেশি।
ব্রিকওয়ার্কের মতে, ফলত সব মিলিয়ে মাত্রা ছাড়াবে রাজকোষ ঘাটতি। যা ইতিমধ্যেই প্রথম ত্রৈমাসিকে বাজেট লক্ষ্যমাত্রার ৮৩.২% ছুঁয়েছে। এ দিকে রাজ্যগুলিকেও বাড়তি ধারের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। সব রাজ্য সেই পথে হাঁটলে, ঘাটতি ১২ শতাংশে পৌঁছনো বিচিত্র নয় বলে তাদের মত।
তবে এর মধ্যেই তৃতীয় ত্রৈমাসিকে গিয়ে অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা মূল্যায়ন সংস্থাটির। তাদের মতে, বিশেষত উৎসবের মরসুমের উপরে ভর করে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে গতি আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে কর আদায় করোনার আগের অবস্থায় ফিরতে পারে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে সংক্রণের গতি কোন দিকে যায় তার উপরে। না-হলে ১২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েও বাজেটে ঘোষিত ব্যয়ের লক্ষ্য ছোঁয়া সম্ভব হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy