রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। —ফাইল চিত্র।
অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফের কাজের সুযোগ তৈরির পক্ষে সওয়াল করলেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। পেনসেলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক রোহিত লাম্বার সঙ্গে লেখা নিজের বইয়ের কথা বলতে গিয়ে তাঁর বক্তব্য, ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা তার ১৪০ কোটি মানুষ। কিন্তু তাঁদের অর্থনীতির জন্য ঠিক মতো কাজে লাগাতে হলে সব ক্ষেত্রে চাকরি জরুরি। বাড়াতে হবে কর্মী দক্ষতাও।
দেশের দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতি হওয়ার তকমা দেখিয়ে বড়াই করছেন কেন্দ্রের নেতা-মন্ত্রীরা। যদিও কাজহীন বৃদ্ধি ও বেড়ে চলা আর্থিক বৈষম্য নিয়ে সতর্কবার্তা আসছে রাজন, প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু-সহ নানা পক্ষ থেকে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, লোকসভা ভোটের আগে কর্মসংস্থান বিজেপি-কে উদ্বেগে রেখেছে। এই অবস্থায় শিকাগো বুথ স্কুলের অর্থনীতির অধ্যাপক রাজনের বক্তব্য, ‘‘সত্যিই বেসরকারি ক্ষেত্রে কাজ তৈরি করা গেলে কি আদৌ সংরক্ষণ প্রয়োজন হবে? সম্ভবত নয়।’’
বিশেষত, বিভিন্ন রাজ্য নিজেদের বাসিন্দাদের জন্য কাজ সংরক্ষিত রাখার ধারা বেশ চিন্তার বলে মনে করেন প্রাক্তন গভর্নর। তাঁর কথায়, এটাই প্রমাণ করে যে চাকরি নেই। অথচ এ ভাবে সংরক্ষণে উন্নতি হয় না। এক রাজ্যের মানুষ অন্য রাজ্যে গেলে যে অর্থনীতির উন্নতি হতে পারে, তা এর আগেও দেখা গিয়েছে। রাজনের পরামর্শ, স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন পদে
কাজের সুযোগ রয়েছে। অথচ সেখানে কোনও কাজ হয় না বলে অভিযোগ ওঠে। পড়ুয়াদের যদি প্রথমেই দক্ষ করে তোলা যায় ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, তা হলে চাকরির জন্য ১০ বছর অপেক্ষা করতে হয় না। তখন উল্টে সংস্থাগুলি দেশে আসতে চাইবে।
প্রসঙ্গত, বইয়েও কাজের সুযোগ তৈরির কথাই তুলে ধরেছেন রাজন। তবে সেখানেও উঠে এসেছে কাজহীন আর্থিক উন্নয়নের কথা। বলা হয়েছে, চাকরি না থাকলে মানবসম্পদের যে সুবিধা ভারত পেতে পারত, তা নিমেষে হারিয়ে যাবে। তখন সকলকে কাজের বাজারে টেনে আনতে আরও বেশি আর্থিক বৃদ্ধি দরকার। তাঁর বক্তব্য, নয়তো ২০১৩ সালে যখন দেশে জিডিপি হিসাব করার পদ্ধতি পাল্টানো হয়েছিল, তার পর থেকে বৃদ্ধির হার ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে বলে মানতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy