প্রতীকী ছবি।
পেট্রল-ডিজ়েলের পাশাপাশি গাড়িতে সিএনজি এবং পাইপে রান্নার জ্বালানি পিএনজি হিসেবে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও গত এক বছরে প্রায় ৭০% বেড়েছে। এ রাজ্যেও একই অবস্থা। যে কয়েকটি জেলায় এখন সিএনজি বিক্রি হচ্ছে, বেড়ে গিয়েছে দাম। কারণ, মাস তিনেক আগে কেন্দ্র আমদানি করা তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) দিয়ে গ্যাসের বাড়তি চাহিদা মেটানোর কথা বলেছিল। বিশ্ব বাজারে এলএনজি-র দাম বাড়ায় দেশেও তার প্রভাব পড়ে। এই অবস্থায় দেশে গ্যাসের দামে রাশ টানতে শিল্পে ব্যবহৃত দেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের জোগান কিছুটা কাটছাঁট করে সিএনজি ও পিএনজি সরবরাহকারী ক্ষেত্রে (সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন বা সিজিডি) তা জোগানের নির্দেশ দিল তেল মন্ত্রক।
এক বছরে দিল্লিতে সিএনজি-র দাম বেড়েছে প্রায় ৭৪%। ৭০% দামি হয়ছে পিএনজি। বৃহত্তর কলকাতা- সহ এ রাজ্যে দক্ষিণবঙ্গের হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় তিনটি সিজিডি সংস্থা— আইওসি আদানি গ্যাস, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম ও বেঙ্গল গ্যাস আপাতত শুধু সিএনজি বিক্রি করে। সূত্রের খবর, মাস কয়েকের মধ্যেই আইওসি আদানি গ্যাসের ক্ষেত্রে প্রায় ৮ টাকা ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের ক্ষেত্রে ৫ টাকা দাম বেড়েছে। সিএনজি দামি হয়েছে বেঙ্গল গ্যাসের ক্ষেত্রেও।
শিল্পের আশঙ্কা, এ ভাবে দাম বাড়লে পেট্রল ও ডিজ়েলের সঙ্গে দামের ফারাক কমায় গ্যাসের চাহিদা ধাক্কা খেতে পারে। সেই প্রেক্ষিতেই মন্ত্রক দেশের ভান্ডার থেকে বাড়তি গ্যাস জোগানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে চাহিদার ৯৪% সে ভাবে মেটানো যাবে। এত দিন যা ছিল ৮৩%-৮৪%।
দূষণ কমাতে স্বচ্ছ জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে ২০১৪ সালে কেন্দ্র ওএনজিসি এবং অয়েল ইন্ডিয়ার গ্যাস ভান্ডার থেকে গ্যাস জোগানের জন্য সিজিডি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখে। ঠিক হয়, তাদের গ্যাসের জোগানে কাটছাঁট হবে না ও আগের ছ’মাসের চাহিদা দেখে বছরে দু’বার (এপ্রিল ও অক্টোবর) গ্যাসের বরাদ্দ স্থির করা হবে। সে ভাবেই ২০২১ সালের পুরো বরাদ্দ করার পরে মে মাসে ২০১৪ সালের জোগানের নির্দেশিকা সংশোধন করে জানায়, আগের বছরের থেকে চাহিদা বাড়লে সেটা মেটানো হবে আমদানি করা এলএনজি দিয়ে। দেশের ও আমদানি করা গ্যাসের গড় দামের ভিত্তিতে তা জোগানোর বিশেষ দাম ঠিক করবে গেল। এলএনজি-র দাম চড়ায় দেশের বাজারে সেই বিশেষ দামও বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy