Advertisement
E-Paper

সোনা জমা প্রকল্পে বদলের আর্জি

সংবাদ সংস্থা 

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২০ ০৫:১২

দেশের সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সংস্থার হাতে আনুমানিক প্রায় ২৪,০০০ টন সোনা রয়েছে। একে দেশের কাজে লাগানোর জন্য সোনা জমার প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাতে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া মেলেনি। সোনা জমা পড়েছে ২০ টন মতো। এই অবস্থায় প্রকল্পটিকে আরও জনপ্রিয় করতে কেন্দ্রকে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে গয়না রফতানি উন্নয়ন পরিষদ। পরিষদের চেয়ারম্যান কলিন শাহ জানান, সম্প্রতি কেন্দ্রের আর্থিক বিষয়ক দফতরের সচিব তরুণ বজাজের সঙ্গে একটি ভিডিয়ো বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানেই প্রস্তাবগুলি দেওয়া হয়েছে। এখনকার প্রকল্পটি কেন জনপ্রিয় হল না, তার সম্ভাব্য কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তাঁরা।

প্রকল্প অনুযায়ী, যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা তাদের হাতে থাকা ধাতব সোনা ব্যাঙ্কে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জমা দিতে পারেন। তার বিনিময়ে তিনি নিয়মিত সুদ পাবেন। সময়সীমার শেষে তিনি ফেরত পাবেন সমান ওজনের সোনা কিংবা টাকা। শাহের বক্তব্য, আয়কর দফতরের কড়া নজর, বিশ্বাসযোগ্যতা, গ্রামের দিকে যথেষ্ট ব্যাঙ্ক না-থাকা তো আছেই। সেই সঙ্গে প্রকল্পটি ব্যবসায়িক ভাবে ততটা আকর্ষণীয় না-হওয়া, মেয়াদের আগে সোনা ফেরত নিলে জরিমানাও প্রকল্পের ব্যর্থতার কারণ।

আর্থিক বিষয়ক সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বেশি কিছু পরামর্শ দিয়েছে পরিষদ। তাদের বক্তব্য—

 এখনকার আয়কর ব্যবস্থা অনুযায়ী নথি ছাড়া বিবাহিত মহিলারা ৫০০ গ্রাম, অবিবাহিত মহিলারা ২৫০ গ্রাম এবং পুরুষেরা ১০০ গ্রাম সোনা রাখতে পারেন। তাকে বাড়িয়ে যথাক্রমে ১ কিলোগ্রাম, ৫০০ গ্রাম এবং ২০০ গ্রাম করা হোক। সে ক্ষেত্রে ধাতব সোনা ব্যাঙ্কে জমা দিতে উৎসাহ বাড়বে।

 প্রকল্পের গ্রাহকদের বৈদ্যুতিন ডিপোজিট সার্টিফিকেট দেওয়া হোক। যা তাঁরা ডিম্যাটের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন।

 সেই বৈদ্যুতিন সার্টিফিকেটের মাধ্যমেই প্রথম থেকে শেষ গ্রাহক পর্যন্ত প্রত্যেকের বিস্তারিত তথ্য পেতে পারবে আয়কর দফতর।

 প্রকল্প চালানো হোক গয়না ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেও। কারণ, প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাঙ্কের থেকে তাঁদের বেশি যোগাযোগ রয়েছে।

 এ ছাড়াও, এখন প্রকল্পে যোগ দিতে ন্যূনতম ৩০ গ্রাম সোনা লাগে। তাকে কমিয়ে ১০ গ্রাম করারও আর্জি জানানো হয়েছে।

এই প্রকল্পে জমা হওয়া সোনাকে বিদেশি মুদ্রা ভান্ডারের সঙ্গে যুক্ত করারও আবেদন জানিয়েছে পরিষদ। তাদের মতে, তা করলে সোনার আমদানি কমানো যাবে। ভান্ডার শক্তিশালী হলে মূল্যায়ন সংস্থাগুলির কাছে রেটিং বাড়বে ভারতের। ভারসাম্য আনা সম্ভব টাকার দামেও।

Gold Deposit Gems & Jewellery Export Promotion Council
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy