অনলাইনে কেনাকাটা বা বাড়িতে বসে রেস্তরাঁর খাবার খাওয়ার ঝোঁক যত বাড়ছে, তত মাথা তুলছে এ সংক্রান্ত নেট নির্ভর কাজ। বিশেষত উৎসবের মরসুমে বাড়িতে পণ্য বা খাবার পৌঁছনোর চাপ বাড়ায় বিপুল সংখ্যায় গিগ কর্মী নিয়োগ করে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি। যার লক্ষ্য, বিক্রি বেশি থাকাকালীন অল্প সময়ের জন্য নিয়োগ। কমলে একাংশকে ছাঁটাই। গবেষণা সংস্থা ইন্ডিড-এর সমীক্ষা বলছে, এ বছর উৎসবে গিগ কর্মী নিয়োগ বেড়েছে। কিন্তু কর্মপ্রার্থী বা নিযুক্ত কর্মীদের বড় অংশের এই কাজ সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি ও চাহিদা বদলেছে। বেশির ভাগ গিগ কর্মী স্থায়ী কাজ, ভাল বেতন এবং আগামী দিনে উন্নতির সুযোগ চাইছেন। চাহিদা পূরণ না হলে একাংশ কাজে যোগ দিচ্ছেন না কিংবা ছেড়ে দিচ্ছেন।
এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে ১২৬১টি সংস্থাও ২৫৩৩ জন গিগ কর্মীকে নিয়ে করাইন্ডিডের সমীক্ষায় দাবি, তিন জন কর্মীর দু’জনই পাকা চাকরি খুঁজছেন। যার প্রথম ধাপ উৎসবে কাজ করা। সে ক্ষেত্রে নিশ্চিত আয় চান ৬৯%। প্রভিডেন্ট ফান্ডের মতো দীর্ঘমেয়াদি ও অবসরকালীন সুবিধা চান ৩৭%। মাত্র ৭% উৎসবের বোনাস ও ৫% বেতন-সহ ছুটির কথা বলেছেন।
উল্টো পথে হেঁটে এ বছর ৫৩% সংস্থা চার জনের মধ্যে তিন জন চুক্তি ভিত্তিক গিগ কর্মী চেয়েছে। গত বছরের থেকে যা ৭% বেশি। নেট বাজার, পণ্য পরিবহণ, খুচরো বিক্রি, আতিথেয়তার মতো ক্ষেত্রের ৪৩% সংস্থা নিয়োগ বাড়িয়েছে। কিন্তু তাদের বোনাস বা ঘণ্টা পিছু মজুরি কর্মীদের সন্তুষ্ট করেনি।তাই বহু গিগ কর্মী কাজে যোগ দিতে চাইছেন না। রিপোর্ট বলছে, কর্মীদের সিংহভাগ চান ভবিষ্যতের কথা ভাবতে। উৎসবের নিয়োগেও সেই ঝোঁক স্পষ্ট।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)