একাধিক দাবিতে বড়দিন এবং বছরের শেষ দিন দেশ জুড়ে ধর্মঘট ডেকেছেন সুইগি, জ়্যোমাটো, ব্লিংকিট, অ্যামাজ়ন, ফ্লিপকার্টের মতো অনলাইন সংস্থার হয়ে কাজ করা গন্তব্যে জিনিস, খাবার-দাবার পৌঁছে দেওয়ার কর্মীরা (ডেলিভারি কর্মী)। বৃহস্পতিবার ছিল ধর্মঘটের প্রথম দিন। তাতেই দেশের বহু অংশে সম্পূর্ণ থমকে গেল বাড়িতে বসে নেট বাজার থেকে কেনাকাটার পরিষেবা। যে কারণে দিল্লি-সহ দেশের অনেক জায়গায় অ্যাপে খাবার কিনতে পারেননি কেউ। বিশেষত বিপর্যস্ত হয়েছে দিল্লি, রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চল, গুরুগ্রাম, হায়দরাবাদ, তেলঙ্গানা, চেন্নাই। তবে সূত্রের খবর, কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গে ধর্মঘটের প্রভাব তেমন পড়েনি।
যে সব অভিযোগে এই ধর্মঘট, তার মধ্যে রয়েছে— কম মজুরি, নিরাপত্তাহীন কাজের পরিবেশ, সামাজিক সুরক্ষার অভাব, অতিরিক্ত লম্বা সময় ধরে কাজ। তাঁদের দাবি, ‘কুইক সার্ভিস’ অর্থাৎ ৮-১০ মিনিটে পণ্য পৌঁছনোর পরিষেবাতেও একটু বেশি সময় লাগলেই বসে জরিমানা। কোনও মতে গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে প্রাণও চলে যায়। দু’দিনের এই ধর্মঘট ডেকেছে তেলেঙ্গনা গিগ অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ওয়াকার্স ইউনিয়ন। সমর্থন করেছে ইন্ডিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাপ বেসড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স। সংগঠনের পক্ষে শেখ সালাউদ্দিন বলেন, প্রায় ৪০ হাজার ডেলিভারি কর্মী এ দিন ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন। ৫০% পরিষেবা ধাক্কা খেয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর আরও বেশি কর্মী যোগ দেবেন। প্রভাবওপড়বে বেশি।
ধর্মঘটীদের দাবি, কোনও কারণ ছাড়া কর্মীদের বসিয়ে দেওয়া চলবে না। পিএফ-বিমার মতো সুরক্ষা দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে সম্মান, কাজের নিরাপদ লক্ষ্য, বিশ্রামের সময়, ছুটি, অভিযোগ করার উপযুক্ত ব্যবস্থা, স্বচ্ছ পারিশ্রমিক ইত্যাদিও চেয়েছেন তাঁরা। ইউনিয়নগুলির আরও দাবি, অ্যাপগুলি যে ভাবে নিজেদের সুবিধার্থে ডেলিভারি পার্টনারদের ব্যবহার করে, তার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন। এই নিয়ে সুইগির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও মন্তব্য করেনি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)