বিশ্ব বাজারের হাত ধরে টানা পড়ছিল সোনার দাম। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার ২০০ টাকা বাড়ল সোনার দাম। বুধবার ৩০০ টাকা কমে পাকা সোনার দাম দাঁড়িয়েছিল ২৪,৮২০ টাকা। এ দিন ২০০ টাকা বেড়ে তা হল ২৫,০২০ টাকা। বেশ কিছু দিন পর ২৫ হাজার ছাড়াল সোনা।
মুম্বই বাজারে বুধবারও প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট পাকা সোনার দাম নেমে ছিল ২৫ হাজারের নীচে। আগের দিনের থেকে ৩০০ টাকা কমে পাকা সোনার দাম দাঁড়িয়েছিল ২৪,৮২০ টাকা। কলকাতাতেও পড়েছিল সোনার দাম। পড়েও অবশ্য ২৫ হাজারের উপরেই ছিল কলকাতা। আগের দিনের থেকে ২৫০ টাকা কমে প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট সোনার দাম ঠেকেছিল ২৫,২৮০ টাকায়। গয়নার সোনার দামও আগের দিনের থেকে ২৩৫ টাকা কমে বুধবার দাঁড়ায় ২৩,৯৮৫ টাকা। কমেছিল রুপোর দামও। প্রতি কিলোগ্রাম রুপোর বাটের দাম ১০০ টাকা কমে বুধবার হয় ৩৪,০৫০ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রুত পড়ছে সোনার দাম। চিন এক লপ্তে ৩৩ হাজার কেজি সোনা বিক্রি করায় বিশ্ব জুড়ে সোনার দাম ঝপ করে পড়ে গিয়েছে। এ দিকে আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতা সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাক্স জানিয়েছে, সোনার দাম আরও পড়বে। এই অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে সোনার লগ্নিকারীরা বিক্রি শুরু করেছেন, যার ফলে আরও পড়ছে দাম। এই দিন বিশ্ব বাজারে প্রতি ট্রয় আউন্স সোনার দাম আগের দিনের থেকে ০.৬% কমে ঠেকেছে ১০৯৪.৪৩ ডলারে। এই নিয়ে বিশ্ব বাজারে পরপর ১০ দিন পড়ল সোনা, ১৯৯৬ সালের পর থেকে যার নজির নেই।
সংসদে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিরোধের জেরে জমি বিল, পণ্য-পরিষেবা কর বিল-সহ আর্থিক সংস্কারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল বাদল অধিবেশনে পাশ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই সবকে উপেক্ষা করেই মূলত পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার হিড়িকে চাঙ্গা হয়ে উঠল শেয়ার বাজার। গত দু’দিনের লেনদেনে সেনসেক্সের পতন হয় ২৮০ পয়েন্টেরও বেশি। এই অবস্থায় পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার সুযোগ নিতে ছাড়েননি লগ্নিকারীরা। শুধু সংসদে ঝামেলাই নয়, ইউরোপ ও এশিয়ায় অধিকাংশ বাজারের পতনকেও উপেক্ষা করেছে ভারতের শেয়ার বাজার। পড়তি বাজার ছাড়াও ভাল বর্ষা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমতে থাকায় উৎসাহিত লগ্নিকারীরা। তাঁদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে যে, এ বার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার কমানোর রাস্তায় হাঁটতে পারে। এই সব কারণও সূচকের উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
এ দিন চিন এবং ইন্দোনেশিয়ার শেয়ার সূচক উঠলেও পড়েছে সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের বাজার। অন্য দিকে ইউরোপে ব্রিটেন, ফ্রান্স, এবং জার্মানির মতো গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলিতে সূচক পড়েছে। গ্রিস পরবর্তী দফায় আর্থিক সংস্কার চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কাতেই পড়েছে বাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy