সিঙ্গুরে কারখানা হয়নি। ডানলপ, হিন্দমোটর বন্ধ হয়েছে। ধুঁকছে চটকলগুলি, কোনও রকমে টিকে হুগলি শিল্পাঞ্চল। তবু কয়েক বছর ধরে রাজ্যের উদ্যোগে এই জেলায় হচ্ছে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) সম্মেলন। নাম ‘সিনার্জি’। মঙ্গলবার ‘সিনার্জি ২০২৫’ হল চুঁচুড়ার রবীন্দ্রভবনে। হুগলির পাশাপাশি যার আয়োজনে সাহায্য করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতা জেলা প্রশাসন। হাজির ছিলেন তিন জেলার শিল্পোদ্যোগীরাই।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন এমএসএমই দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। ছিলেন একাধিক জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি আধিকারিক। সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেন, ‘‘যাঁদের চোখে সমস্যা আছে, তাঁরাই সিঙ্গুরে শিল্প দেখতে পান না। গোটা রাজ্যের সঙ্গে এই জেলা এবং সিঙ্গুরেও ছোট-মাঝারি শিল্প এসেছে।’’ বিজেপির রাজ্য সম্পাদক শঙ্কর ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুরে শিল্পের জন্য যত জমি অধিগ্রহণ করেছেন, সেখানে এখন গরু চড়ে। উনি রাখালের কাজ করতে পারবেন।’’ এ দিন চন্দ্রনাথের মন্তব্য, ‘‘ছোট শিল্পের উন্নয়নে প্রতি বছর জেলায়, জেলায় সম্মেলন হয়। এ বার হুগলির ২০০ একর জমি ওই শিল্পের জন্য নেওয়া হয়েছে।’’ তার ২৭ একর সিঙ্গুরে, জানান বেচারাম।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আগামী বছর রাজ্যে ভোট। তার আগে শিল্পোদ্যোগীদের উৎসাহ বাড়াতে ‘সিনার্জি-তে বাড়তি তৎপর ছিল রাজ্য সরকার। ঝাঁ চকচকে আবহে শিল্প-সহযোগী বিভিন্ন দফতরের শিবির হয়। বোঝানো হয় ‘শিল্পসাথী’ পোর্টালের (যেখানে শিল্প গড়তে ১৭টি দফতরে আবেদন করা যায়) বিশদ তথ্য। কিছু আবেদনকারীর হাতে চরিত্র বদলের পরে জমির শংসাপত্র, ঋণের চেক ইত্যাদি তুলেও দেওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রের দাবি, দু’তিন বছরে হুগলিতে ২৬৫৪ কোটি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৪০৮ কোটি এবং কলকাতায় ৪১১৬ কোটি টাকা লগ্নির সম্ভাবনা। তাতে মোট এক লক্ষ কর্মসংস্থান হতে পারে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)