কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রস্তাবিত ২০৩০ নয়। দেশের রাস্তায় শুধুই নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি চলার সময় বেঁধে দেওয়া হোক স্বাধীনতার শতবর্ষ, ২০৪৭ সাল। বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দেওয়া শ্বেতপত্রে এই দাবি তুলল দেশের গাড়ি শিল্প।
সম্প্রতি কয়লা তথা রেলমন্ত্রী মন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান, কেন্দ্র চায়, ২০৩০-এর মধ্যে দেশের রাস্তায় শুধুই বৈদ্যুতিক গাড়ি চলুক। আর সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর হুঁশিয়ারি, শিল্পমহল উদ্যোগী না-হলে কেন্দ্র তাদের সেই সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য (বুলডোজ) করবে।
গাড়ি শিল্প বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রযুক্তির পক্ষে থাকলেও, তাড়াহুড়ো করে কিছু চাপানোর বিরোধী। তাদের দাবি, ২০৩০-এ সব গাড়িই বৈদ্যুতিক হতে হবে, এমন ভাবনার কথা সরকারি স্তরে কখনও বলা হয়নি। বরং বিশেষজ্ঞ সংস্থার পরমার্শ নিয়ে নীতি আয়োগ বলেছিল, ২০৩০-এর মধ্যে জন-পরিবহণ ব্যবস্থায় যুক্ত ১০০% নতুন গাড়ি ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের নতুন ৪০% গাড়ি বৈদ্যুতিক হোক।
বস্তুত, সম্প্রতি কেন্দ্রকে দেওয়া শ্বেতপত্রেও সেই কথাই বলেছে ভারতে গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়াম। বুধবার সিয়ামের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে দেশে শুধুই বৈদ্যুতিক গাড়ির লক্ষ্য তারা বেঁধেছে ২০৪৭-এ। সিয়াম প্রেসিডেন্ট অভয় ফিরোদিয়ার বক্তব্য, ধাপে ধাপে পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির পথে হাঁটুক ভারত। হাইব্রিড বা প্রথাগত জ্বালানির সঙ্গে সঙ্গে জৈব জ্বালানিও ব্যবহার করা হোক।
এক কর্তার মতে, গোটা বিশ্বে এখনও সব গাড়ির মাত্র ১% বৈদ্যুতিক। ফলে ভারতেও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে ও পরিকাঠামো বদলাতে সময় লাগবেই।
লক্ষ্য বেঁধে
২০৩০
• একই শহরের মধ্যে চলা জন-পরিবহণের সব নয়া গাড়িই বৈদ্যুতিক।
• দেশের সমস্ত নতুন গাড়ির ৪০% বৈদ্যুতিক।
• নতুন গাড়ির ৬০% হাইব্রিড বা বিকল্প জ্বালানির।
২০৪৭ • সব নতুন গাড়িই বৈদ্যুতিক।
১০০% লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ক্ষেত্রে কেন গোড়াতেই জন-পরিবহণকে বাছা হচ্ছে? সিয়ামের বক্তব্য, বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রযুক্তি, এর আর্থিক সুবিধা কিংবা সরকারের কাছ থেকে কী সুবিধা মেলে, সে সব বেশিরভাগেরই অজানা। বরং পরিকাঠামোর অভাবে এই গাড়ি নিয়ে সাধারণ ভাবে সকলের মনে শঙ্কা রয়েছে। তাই জন-পরিবহণে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার হলে সেই শঙ্কা অনেকটাই দূর করা সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy