অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে রেকর্ড মুনাফার মুখ দেখল দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। তথ্য বলছে, সব মিলিয়ে এপ্রিল-জুনে ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৪৪,২১৮ কোটি টাকা। যা গত বছরের এই সময়ের চেয়ে ১১% বেশি। এর মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্কেরই মুনাফা হয়েছে ১৯,১৬০ কোটি। যা মোট লাভের ৪৩%। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির এই মুনাফা পরিষেবা বাবদ খরচ বাড়ানোয় এবং অনুৎপাদক সম্পদ কমায় সংস্থান কম করতে হওয়ার মতো কারণে। ব্যাঙ্কের মূল ব্যবসা অর্থাৎ, সুদ বাবদ আয় থেকে মুনাফা বাড়েনি, বরং কিছু ক্ষেত্রে কমেছে। যা অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা বহাল রাখছে। কারণ, সুদ বাবদ আয় বৃদ্ধি আদতে ঋণের চাহিদা বৃদ্ধিরই প্রমাণ। আর শিল্প তথা খুচরো ঋণ নেওয়ায় আগ্রহ বৃদ্ধির মানে দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ড গতি পাওয়া।
তথ্য বলছে, এপ্রিল-জুনে ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেরই মুনাফা বেড়েছে। কমেছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের। ৪৮% নেমে হয়েছে ১৬৭৫ কোটি।
মার্চেন্টস চেম্বার্স অব কমার্সের ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক পরিষেবা পরিষদের চেয়ারম্যান স্মরজিৎ মিত্রের বক্তব্য, সামগ্রিক ভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির এই যে ১১% মুনাফা বেড়েছে, তা ব্যাঙ্কিং শিল্পের মূল ব্যবসা অর্থাৎ সুদ থেকে আয় বৃদ্ধির কারণে নয়। বরং কিছু ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে তা আগের থেকে কমেছে। মুনাফা মূলত বেড়েছে ব্যাঙ্কগুলি এপ্রিল থেকে পরিষেবা সংক্রান্ত খাতে চার্জ বাড়ানোয়। তা ছাড়া প্রথম ত্রৈমাসিকে অনুৎপাদক সম্পদ বাবদ সংস্থান কম করতে হওয়ায় তাদের হিসাবের খাতা পোক্ত হয়েছে। অথচ সুদ থেকে আয় বাড়লে বোঝা যেত ঋণের চাহিদা বা কেনাকাটা বেড়েছে। কিন্তু তা না হওয়ায় অর্থনীতি নিয়েও চিন্তা থাকছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)