প্রতীকী ছবি।
গত সপ্তাহে ২০২০ সালে ভারতের বৃদ্ধির হার ২.৫ শতাংশে নামবে বলে জানিয়েছিল মুডি’জ়। আর ইক্রার মতে, পরের অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে মাত্র ২%। এতটা না-হলেও, ফের ভারতের পূর্বাভাস ছাঁটল মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ এবং ইন্ড-রা। চাহিদা ও জোগান ধাক্কা খাওয়ার জেরে পরের অর্থবর্ষে (২০২০-২১) তা ৪.৬ শতাংশে দাঁড়াবে বলে মত ফিচের। এর আগে চলতি মাসেই তা ৫ শতাংশের উপরে থাকবে বলে জানিয়েছিল তারা। আর ইন্ড-রার দাবি, বৃদ্ধির হার হবে তাদের আগের ৫.৫% পূর্বাভাসের চেয়ে বেশ কিছুটা কম, ৩.৬%। ফিচ মনে করে, কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং সংস্থা ও সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিতে যে সমস্ত পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে, তা আদতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম।
গত সপ্তাহে প্রথমে কেন্দ্র ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করেছে। তার পরে এক ধাক্কায় ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ ছাঁটাই করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বলে সব মেয়াদি ঋণের কিস্তি তিন মাস স্থগিত রাখার কথাও। কিন্তু মূল্যায়ন সংস্থাগুলির মতে, এমনিতেই ঝিমিয়ে থাকা অর্থনীতিতে এই ত্রাণ যথেষ্ট নয়। বিশেষত আগে থেকেই যেখানে বাজারে চাহিদা ছিল না। এ বার করোনার জেরে তা আরও ধাক্কা খাবে। সেই সঙ্গে লকডাউনের কারণে উৎপাদন বন্ধ থাকার প্রভাব পড়বে জোগানেও। ইতিমধ্যেই ধুঁকছে বিমান, পর্যটন, হোটেলের মতো পরিষেবা ক্ষেত্র। বিশ্ব বাজারে চাহিদা কমায় লোকসানের দিন গুনছে দামি পাথর, গয়নার মতো রফতানি শিল্প। ফলে সব মিলিয়ে অর্থনীতির বেহাল দশা আরও প্রকট হবে আগামী কয়েক মাসে।
ইন্ড-রার মতে, এর জেরে এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ত্রৈমাসিকে দেশের বৃদ্ধি নামতে পারে ২.৩ শতাংশে। করোনা রুখতে সম্পূর্ণ বা আংশিক লকডাউন এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত চলতে পারে ধরে নিয়েই এই হিসেব তাদের।
তবে করোনা দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির অর্থনীতিতে বেশি প্রভাব ফেলবে, দাবি ইকনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের। উপদেষ্টা সংস্থাটির মতে, ভারত-সহ এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সরকার যে ত্রাণ এনেছে, তা দিয়ে অর্থনীতির ক্ষতি পোষানো অসম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy