উৎসবের মুখে নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে ৩৭৫টি পণ্যে জিএসটি-র হার কমিয়েছিল মোদী সরকার। যার জেরে কেনাকাটা বাড়লেও, কিছুটা ধাক্কা খেল জিএসটি আদায়। শনিবার সরকারি পরিসংখ্যান জানাল, গত মাসে তা ৪.৬% বেড়ে হয়েছে প্রায় ১.৯৬ লক্ষ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে এর আগে এতটা ঢিমে হারে বাড়েনি সংগ্রহ। তার উপরে জিএসটি রিফান্ড ৩৯.৬% বৃদ্ধির হাত ধরে নিট হিসাবে পরোক্ষ কর আদায় হয়েছে ১.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা। যা গত বছরের এই সময়ের থেকে মাত্র ০.২% বেশি। ২০২৪ সালের অক্টোবরে মোট জিএসটি আদায় ছিল ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা।
এ দিকে, কেন্দ্রের জিএসটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছোট শিল্পের জন্য দ্রুত জিএসটি নথিভুক্তির সরল ব্যবস্থা চালু হল এ মাস থেকেই। জানানো হয়েছে, যে সব ছোট-মাঝারি সংস্থায় ঝুঁকি কম, সেগুলি তিন দিনে নিজেদের নাম পরোক্ষ কর ব্যবস্থায় নথিভুক্ত করতে পারবে। যে সব সংস্থার করের (কেন্দ্রীয়, রাজ্য ও সম্মিলিত জিএসটি) দায় মাসে ২.৫ লক্ষ টারা পেরোবে না, তারাই এই সুবিধা পাবে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জিএসটি সংস্কারের বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই মতো ২২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে জিএসটি-র দু’টি হার চালু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কর কমবে ধরে নিয়ে আমজনতা উৎসবের আগে কেনাকাটা স্থগিত রেখেছিলেন। করের হার মাথা নামানোর ফলে সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে তাঁরা বাজারে ফিরেছেন ঠিকই। কিন্তু রাজকোষে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংগ্রহ বাড়েনি। তবে কর কমা সত্ত্বেও জিএসটি আদায় মাথা তোলাই প্রমাণ করে দেশের বাজারে চাহিদা ভালই বজায় রয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)