আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা এড়াতে রফতানি ক্ষেত্রে ভারতকে বিশেষ কয়েকটি জায়গায় নজরদারি বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করল বাণিজ্য উপদেষ্টা জিটিআরআই। তাদের মতে, প্রয়োজনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি, রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সওয়াল করা যেতে পারে দেশীয় সংস্থাগুলির স্বার্থে। তারা যাতে বড় বাণিজ্য সহযোগীদের শর্তগুলি ঠিক ভাবে জানতে এবং মানতে পারে, সে ব্যাপারে তাদের সাহায্য করতে হবে সরকারকে।
গত ৩০ অক্টোবর রাশিয়ার সামরিক কার্যকলাপকে সাহায্য করার অভিযোগে মোট ৪০০টি সংস্থা ও ব্যক্তির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। এই তালিকায় ভারতের ১৯টি সংস্থা এবং দুই ব্যক্তিও রয়েছেন। এর পরে ১ নভেম্বর এই তালিকায় যোগ হয় আরও পাঁচটি ভারতীয় সংস্থার নাম। অভিযোগ, এই সংস্থাগুলি আমেরিকা থেকে পণ্য কিনে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিক্রি করেছে। অথচ উৎপাদন এবং রফতানি বাড়িয়ে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্যে নিট রফতানিকারী হয়ে উঠতে চাইছে ভারত। বৃহৎ বাণিজ্যসঙ্গী আমেরিকার তরফে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা চাপলে সেই কর্মসূচি ব্যর্থ হতে পারে। জিটিআরআইয়ের রিপোর্টে বক্তব্য, এই ধরনের একতরফা নিষেধাজ্ঞা এমনিতেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিতর্কিত ব্যাপার। তবে ভারতকে এ ব্যাপারে কৌশলী পদক্ষেপ করতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি, আমেরিকার সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চালাতে পারে ভারত।
জিটিআরআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব জানান, নতুন এই সমস্যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, বিভিন্ন দেশের বিধির দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে ভারতকে। বিশেষত, যে সমস্ত পণ্য নাগরিক এবং প্রতিরক্ষা দুই ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়। যে সমস্ত দেশ এবং সংস্থার উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাদের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও সতর্ক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)