Advertisement
E-Paper

ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট বাতিল! নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পেনশন পেতে কী কী করলে মুশকিল আসান?

নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পেনশন পেতে এ বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অবসরপ্রাপ্তদের জমা করতে হবে ‘ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট’। কিন্তু, সেই প্রক্রিয়া বাতিল হলে কী করবেন তাঁরা?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৮
Representative Picture

—প্রতীকী ছবি।

সরকারি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পেনশনভোগীদের ‘লাইফ সার্টিফিকেট’ জমা করা বাধ্যতামূলক। এর মাধ্যমে বেঁচে থাকার প্রমাণ দিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহক। নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পেনশেন পাওয়ার যা অন্যতম শর্ত। বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আধারভিত্তিক ‘লাইফ সার্টিফিকেট’ জমা নিয়ে থাকে ব্যাঙ্ক, ডাকঘর ও পেনশন বিতরণকারী সংস্থা। আবার সুনির্দিষ্ট কিছু মন্ত্রকের (যেমন প্রতিরক্ষা) ক্ষেত্রে ‘জীবন প্রমাণ’ অ্যাপে এটি ঘরে বসে জমা করার সুযোগ রয়েছে।

‘লাইফ সার্টিফিকেট’ জমা করলে সংশ্লিষ্ট পেনশনভোগীর হাতে চলে আসে একটি ডিজিটাল শংসাপত্র। কিন্তু, যদি বাতিল হয় ‘লাইফ সার্টিফিকেট’-এর নথি? সে ক্ষেত্রে পেনশন বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি প্রবল। অনেক সময়েই এই সমস্যা অবসরপ্রাপ্তদের দিশাহারা করেছে। কী ভাবে এড়াবেন বিপত্তি? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।

বিশেষজ্ঞেরা ডিজিটাল শংসাপত্র না পাওয়া বা ‘লাইফ সার্টিফিকেট’ আটকে যাওয়ার নেপথ্যে বেশ কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করেছেন। সেগুলি হল, ফর্মে ভুল আধার নম্বর এবং পিপিও (পেনশন পেমেন্ট অর্ডার) নম্বর লিখে ফেলা। এ ছাড়া অনেকে পেনশনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যও ভুল দিয়ে ফেলেন। ফলে বাতিল হয়ে যায় সংশ্লিষ্ট ‘লাইফ সার্টিফিকেটের’ ফর্ম।

বেঁচে থাকার প্রমাণপত্র জমা করার সময় পেনশনভোগীকে আঙুলের ছাপ-সহ দিতে হয় একাধিক বায়োমেট্রিক প্রমাণ। যান্ত্রিক বা অন্য কোনও কারণে সেখানেও ব্যর্থতা আসতে পারে। তখন বাতিলের খাতায় যায় সংশ্লিষ্ট অবসরপ্রাপ্তের ফর্ম। এসএমএস মারফত যে খবর সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যান তিনি।

এই ধরনের পরিস্থিতিতে পেনশন গ্রাহককে ব্যাঙ্ক, ডাকঘর বা পেনশন বিতরণকারী সংস্থার দফতরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। সেখান থেকেই কী কারণে ‘লাইফ সার্টিফিকেট’ বাতিল হয়েছে, তা জানতে পারবেন ওই ব্যক্তি। এর পর ভুলটা বুঝে নিয়ে ডিজিটাল শং‌সাপত্রের জন্য ওই নথি ফের জমা বা সংশোধন করতে হবে তাঁকে।

তবে বাতিল হওয়ার পর দ্বিতীয় বার ‘লাইফ সার্টিফিকেট’ জমা করলে নতুন একটি ‘জীবন প্রমাণ আইডি’ পেতে পারেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহক। ফলে ব্যাঙ্ক, ডাকঘর বা পেনশন বিতরণকারী সংস্থার কাছে একই নম্বর আছে কি না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে তাঁকে। নইলে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ‘লাইফ সার্টিফিকেট’ জমা করতে পারবেন পেনশনভোগীরা। তার মধ্যেই ডিজিটাল শংসাপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।

Jeevan Pramaan Life Certificate Pension
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy