পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনার আঁচ পড়ল শেয়ার বাজারে। চিনা আগ্রাসনের খবর সংবাদমাধ্যমে আসতেই ধস নামল শেয়ার বাজারে। দিনের সর্বোচ্চ উচ্চতা থেকে প্রায় ৯০০ পয়েন্ট নেমে গেল সেনসেক্স। নিফটি নেমে যায় ২৬৫ পয়েন্টেরও বেশি। যদিও পরের দিকে সেখান থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে দুই শেয়ার সূচকই।
অথচ দিনের শুরুতে শেয়ার বাজারে তেজি ভাবই ছিল। আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৪২০ পয়েন্ট উপরে বাজার খোলে। কিন্তু তার মধ্যেই পূর্ব লাদাখে প্যাংগং উপত্যকায় চিনা বাহিনী স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে বলে খবর মেলে। সেনার তরফে জানানো হয়, নয়াদিল্লি-বেজিং সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে যে ঐকমত্যে পৌঁছনো গিয়েছিল, ২৯-৩০ অগস্ট রাতে তা লঙ্ঘন করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে প্ররোচনামূলক পদক্ষেপ করেছে চিনের সেনা।
এই খবর সামনে আসতেই ধস নামতে শুরু করে শেয়ার বাজারে। তার আগে পর্যন্ত সেনসেক্স ৪০,০১০.১৭ পয়েন্ট উঠেছিল। সেখান থেকে নামতে নামতে পৌঁছে যায় দিনের সর্বনিম্ন ৩৮,৭০৪.১৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ স্থান থেকে প্রায় ৯০০ পয়েন্ট নীচে নেমে যায় মুম্বই শেয়ার সূচক। অন্য দিকে নিফটি খুলেছিল ১২৯.৯৫ পয়েন্ট উপরে। সর্বোচ্চ ছিল ১১,৭৯৪.২৫। সেখান থেকে প্রায় ২৬৫ পয়েন্ট নেমে নিফটি পৌঁছয় সর্বনিম্ন ১১,৪০৭.৮৫ পয়েন্টে।
আরও পড়ুন: প্যাংগংয়ে ফের ঢোকার চেষ্টা চিনের, আটকে দিল ভারতীয় সেনা
আরও পড়ুন: আদালত অবমাননায় ১ টাকা জরিমানা প্রশান্ত ভূষণের, না দিলে তিন মাসের জেল
করোনাভাইরাস ও লকডাউনের জেরে যে ধস নেমেছিল শেয়ার বাজারে, ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিল শেয়ার বাজার। গত প্রায় দু’মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখীই ছিল। যদিও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও সদর্থক ইঙ্গিত বাজারে ছিল না। তার উপর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার সবচেয়ে নীচে নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছিলেন অর্থনীতিবিদরা। ফলে বাজার কিছুটা চাপে ছিলই। সোমবার চিন সীমান্তের খবর তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে বলেই মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy