অনলাইনে মিলবে আইসক্রিমও। আধুনিক এই বিপণন মাধ্যমের সাহায্যে আইসক্রিম বিক্রি করতে উদ্যোগী হচ্ছে দিল্লির সংস্থা ‘মাদার ডেয়ারি ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবল’।
সংস্থার ‘বিজনেস হেড’ (ডেয়ারি প্রোডাক্টস) শুভাশিস বসু জানিয়েছেন, আইসক্রিম কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত জমাট রাখার উপযুক্ত কন্টেনার ও পরিকাঠামো তৈরি করতে তাঁরা ই-কমার্স সংস্থা ‘বিগ বাস্কেট’-কে সহায়তা করেছেন। কারণ এ ধরনের বিপণন ব্যবস্থায় ক্রেতার কাছে সঠিক গুণমানের আইসক্রিম পৌঁছে দিতে উপযুক্ত পরিকাঠামো জরুরি। তবে আইসক্রিমের বরাত দেওয়ার শর্ত বা পদ্ধতি ঠিক করবে ই-কমার্স সংস্থাটি।
শুধু দুধ নয়, সার্বিক ভাবে ডেয়ারি বা দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির ব্যবসায় জাতীয় স্তরে জায়গা পোক্ত করতে চায় মাদার ডেয়ারি। সেই দৌড়ে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বাঞ্চলে ব্যবসা সম্প্রসারণে জোর দিচ্ছে তারা। ভিন্ন স্বাদের (নলেন গুড়) আইসক্রিম থেকে শুরু করে দই উৎপাদন বাড়াতে নতুন লগ্নির পরিকল্পনাও রয়েছে সংস্থার। এ রাজ্যে তাদের মোট ব্যবসার অর্ধেকই আসে আইসক্রিম থেকে। শুভাশিসবাবু জানান, তাঁদের নতুন আইসক্রিমে নলেন গুড়ের ‘ফ্লেভার’ মিলবে। দিল্লিতে তাঁদের গবেষণা কেন্দ্রে নলেন গুড়ের ওই ফ্লেভার বা স্বাদটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় দু’বছর। কলকাতার পরে তা মিলবে দিল্লিতেও।
পাশাপাশি সংস্থাটির ৩৫% ব্যবসার সূত্র দই। এখন দৈনিক ১০ টনেরও বেশি দই তৈরি করে তারা। তবে শুভাশিসবাবুর দাবি, বাজারের চাহিদা অনেক বেশি। তাই দই উৎপাদনও বাড়াতে কোনও তৈরি কারখানা কাজে লাগানো বা ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি’ মডেলের উপরই জোর দিচ্ছেন তাঁরা।
এক সময়ে কেন্দ্রের নির্দেশে দেশের মেট্রো শহরগুলিতে দুগ্ধজাত পণ্য বিপণনে সাহায্য করতে বিভিন্ন রাজ্যের সমবায়গুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের শাখা সংস্থা দিল্লি-র মাদার ডেয়ারি। সংস্থার ব্র্যান্ড ‘মাদার ডেয়ারি’ ধারও দিয়েছিল তারা। পরবর্তী কালে কয়েকটি মেট্রো শহর এই ব্যবসায় তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড চালু করলে তা থেকে বেরিয়ে আসে দিল্লির মাদার ডেয়ারি সংস্থাটি। যদিও এ রাজ্যে এখনও সেই ব্র্যান্ড চালু। আগের চুক্তি অনুযায়ী, এ রাজ্যে এখনও দুধ তৈরি করতে পারবে না দিল্লির সংস্থাটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy