E-Paper

রাজ্যে লগ্নি প্রস্তাবের সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নের ফারাক বিশাল! দাবি সরকারি রিপোর্টে

শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত বছর জানুয়ারি-জুলাইয়ে বাংলায় যে ২০,৯০০ কোটি টাকার লগ্নি প্রস্তাব এসেছে, বাস্তবায়িত হয়েছে তার দশ ভাগের মাত্র এক ভাগ (২২৫৬ কোটি টাকা)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২৫
প্রকল্প বাস্তবায়নের নিরিখে দেশে রাজ্য সপ্তম।

প্রকল্প বাস্তবায়নের নিরিখে দেশে রাজ্য সপ্তম। —প্রতীকী চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে কিছু লগ্নি প্রস্তাব এলেও তা বাস্তবায়িত হয় না বলে বহু দিনের দাবি বিরোধী-সহ শিল্পমহলের একাংশের। রাজ্য অবশ্য সেই অভিযোগ বারবার নস্যাৎ করা হয়েছে। তবে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত বছর জানুয়ারি-জুলাইয়ে বাংলায় যে ২০,৯০০ কোটি টাকার লগ্নি প্রস্তাব এসেছে, বাস্তবায়িত হয়েছে তার দশ ভাগের মাত্র এক ভাগ (২২৫৬ কোটি টাকা)। সংশ্লিষ্ট মহলের যদিও দাবি, গত বছরের হাল তুলনায় ভাল। ২০২৩-এ এই সময়ে ১২০০ কোটি টাকার ১৪টি প্রস্তাব রূপায়ণ হয়েছিল। এসেছিল ১৬টি। গত বছর বাস্তবায়িত হয়েছে ২৭টি। প্রস্তাব এসেছিল ২২টি।

প্রকল্প বাস্তবায়নের নিরিখে দেশে রাজ্য সপ্তম। শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এখানে সাত মাসে বাস্তবায়িত হয়েছে ১৫৮টি প্রকল্প। এর পরে গুজরাত (১২৫), মধ্যপ্রদেশ (৭৪) ও উত্তরপ্রদেশ (৫৪)। তার পরে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু। আর পশ্চিমবঙ্গের পরে ২৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে অষ্টম স্থানে যৌথ ভাবে রয়েছে কর্নাটক, রাজস্থান ও ওড়িশা। মন্ত্রক জানাচ্ছে, গত বছরে ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়েছে সবচেয়ে বেশি, আটটি। তাতে মোট লগ্নি ৬৮৫ কোটি টাকা। কর্মসংস্থান প্রায় ১৫০০।

শিল্পের বক্তব্য, বাস্তবায়িত হওয়া প্রস্তাবগুলি এসেছিল গত বছরের আগেই। ২০২৪-এ যেগুলি এসেছে, তা রূপায়ণে এক-দু’বছর লাগবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্যের এক শিল্পকর্তার কথায়, সরকার লগ্নি টানতে সফল বলে দাবি করলেও, এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে বাংলায় শিল্পের হাল কেমন। প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে রাজ্য কখনই মুখ খোলেনি। কেন্দ্রের তথ্যে সেটাই জানা গেল। বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বারের অবশ্য বক্তব্য, রাজ্যে শিল্পের হাল ইতিবাচক। লগ্নির দায় থাকে সংস্থাগুলির উপরে। তাদের গাফিলতি খতিয়ে দেখা উচিত।

শিল্প বিশেষজ্ঞ সুপর্ণ মৈত্রও বলছেন, “সব দোষ রাজ্যের নয়। কারণ শিল্পপতিদের কথা বা চুক্তির ভিত্তিতে রাজ্য লগ্নি প্রস্তাবের তথ্য কেন্দ্রকে জানায়। সেই শিল্পপতি পরে কথা না রাখলে কিছুই করার থাকে না।” তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যগুলি সাধারণত বড় প্রস্তাবই তুলে ধরে। কতটা বাস্তবে আসে, সেই প্রশ্ন থাকে। কেন্দ্রের তথ্য সেই বিবাদই অনেকটা মিটিয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

industry Economy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy