জিএসটি চালুর ক্ষেত্রে নানা বিষয়ে গোড়ায় গররাজি ছিল রাজ্য। করটি তড়িঘড়ি আনা হয়েছে বলে আপত্তিও তোলা হয়েছে মাঝেমধ্যেই। তবে এই ব্যবস্থা চালুর ১১ মাসের মাথায় হাতে আসা তথ্যে স্পষ্ট যে, ভ্যাট জমানার তুলনায় জিএসটি-র আওতায় কর আদায় বেড়েছে প্রায় ১৪%। সোমবার এ কথা জানালেন সেন্ট্রাল জিএসটি-র হলদিয়া কমিশনারেটের কমিশনার বিজয় কুমার মল্লিক।
সোমবার এমসিসি চেম্বার অব কমার্সের জিএসটি নিয়ে এক সভায় তিনি বলেন, ‘‘বিহার-সহ কিছু রাজ্যে পণ্য ও পরিষেবা খাতে কর আদায়ের হার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪০% পর্যন্ত কমেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বেড়েছে ১৪%। ২০১৭ সালের ১ জুলাই সারা দেশে জিএসটি চালুর পরে গত প্রায় এক বছরে এ রাজ্যের সংগ্রহ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।’’
শুধু কর আদায়ই নয়, জিএসটির আওতায় নাম লেখানোর ক্ষেত্রেও রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে বাণিজ্য কর বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার আদেশ কুমার জানান, এখানে এখনও পর্যন্ত ৬.৫ লক্ষ সংস্থা নথিভুক্ত হয়েছে। পুরনো ব্যবস্থায় তা ছিল ২.৮৬ লক্ষ।
এ দিকে, জিএসটি পরিষদের স্পেশাল সেক্রেটারি অরুণ গয়াল এই দিন জানিয়েছেন, করদাতাদের রিটার্ন জমার প্রক্রিয়াও আরও সরল করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘পরিষদকে ছ’মাস সময় দেওয়া হয়েছে সরলীকরণের উপায় চূড়ান্ত করতে। ইনফোসিস কর্তা নন্দন নিলেকানির সহায়তায় এই কাজ শুরু হয়েছে।’’
পশ্চিমবঙ্গ-সহ আরও কিছু রাজ্যে ই-ওয়ে বিল চালু আছে। জিএসটিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের পণ্য চলাচলে লাগে এটি। ৩ জুলাই থেকে বাকি রাজ্যেও বিলটি চালু হবে, জানান গয়াল। তবে দ্রুত রিফান্ডের জন্য নতুন কর ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মান আরও উন্নত করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য এমন ব্যবস্থা আনা, যাতে করদাতারা আপনা থেকেই রিফান্ড পেয়ে যান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy