মার্কিন মুলুকে এইচ-ওয়ানবি ভিসার নতুন বর্ধিত ফি নিয়ে সরব হলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক এবং এর ফলে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি মার খাবে বলে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি মাইকেল ফ্রোম্যানের সঙ্গে আলোচনায় মার্কিন মুলুকে কর্মরত ভারতীয়দের দ্বৈত কর এড়ানোর জন্য বিশেষ চুক্তি দ্রুত সই করার কথাও বলেন তিনি। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আই এম এফ) ও বিশ্বব্যাঙ্কের বৈঠকে যোগ দিতেই আমেরিকায় এসেছেন জেটলি।
এর আগে এইচ-ওয়ানবি ভিসা নিয়ে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে আমেরিকা। কারণ, এই শিল্পের ভারতীয় পেশাদাররা মূলত ওই ভিসা নিয়েই মার্কিন মুলুকে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার হয়ে কাজ করেন। মার্কিন প্রশাসনের দাবি ছিল, সংস্থাগুলির এই ভিসা অপব্যবহারের জেরেই তাদের নিজেদের নাগরিকদের প্রতি চূড়ান্ত অবিচার করা হচ্ছে এবং তাদের কাজের সম্ভাবনা কমছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এর পরেই গত বছর এইচ-ওয়ানবি এবং এল-ওয়ান ভিসার ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন কংগ্রেস। সিদ্ধান্ত অনুসারে কিছু এইচ-ওয়ানবি ভিসার ওপর ৪,০০০ ডলার এবং এল-ওয়ান ভিসার ক্ষেত্রে ৪,৫০০ ডলারের বিশেষ ফি চাপানো হয়। ৯/১১ হেল্থকেয়ার অ্যাক্ট এবং বায়োমেট্রিক ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালুর জন্যই ফি বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এ দিন তারই বিরোধিতা শোনা গেল জেটলির গলায়।
ভিসা ছাড়াও বৃহস্পতিবার তাঁর আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয়দের দ্বৈত কর। শিল্পমহলের হিসাবে, গত দশ বছরে মার্কিন মুলুকে অস্থায়ী ভাবে বসবাসকারী ভারতীয় পেশাদাররা ২,৫০০ কোটি ডলারের বেশি সামাজিক সুরক্ষা কর দিয়েছেন, যদিও তাঁরা পেনশন, ইত্যাদির মতো কোনও সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আসেন না। আবার তাঁদের কর দিতে হয়েছে ভারতেও। এই সমস্যা মেটাতে দুই দেশের মধ্যে দ্বৈত কর এড়ানোর চুক্তি দ্রুত সই করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন জেটলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy