আরও বেশি করে বিশ্বের জোগান শৃঙ্খলের অংশ হওয়ার লক্ষ্যে রফতানিতে বারবারই জোর দেওয়ার কথা জানাচ্ছে মোদী সরকার। কিন্তু রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়ো-র রিপোর্টই বলছে, গত পাঁচ বছর ধরে শ্রমনির্ভর ক্ষেত্রগুলির বিদেশে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে ভারত। যার মধ্যে রয়েছে বস্ত্র, সামুদ্রিক পণ্য, প্লাস্টিক, দামি পাথর ও গয়না, জুতো ইত্যাদি। এগুলির ক্ষেত্রে রফতানি বেড়েছে ১%-২%, কোথাও তা কমেওছে। সংগঠনের সতর্কবার্তা, এই সমস্ত ক্ষেত্রের সঙ্গে প্রচুর মানুষের রুজিরুটি জড়িয়ে। তাই রফতানিতে ধাক্কা লাগলে প্রভাব পড়তে পারে দেশের কাজের বাজারেও।
সেই সঙ্গে রিপোর্টে ফিয়োর দাবি, মূলত ভারত হয়ে ইউরোপে অশোধিত তেল পাঠানো হয়েছে বলেই এ দেশের রফতানি ৪০,০০০ কোটি ডলারের আশেপাশে পৌঁছেছে। কিন্তু সেই ধারা আগামী দিনে বহাল থাকবে, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। যে কারণে এখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে সংগঠনটি। এ জন্য জোর দিতে বলেছে বাণিজ্যে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা তৈরিতে। বিশেষত, এমন সমস্ত শ্রমনির্ভর ক্ষেত্রে, যেগুলিতে অন্যান্য শিল্পের তুলনায় রফতানি থেকে আয় বেশি।
সংগঠনের সমীক্ষায় প্রকাশ, প্রতিযোগী দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়াই বাণিজ্যে পিছোচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, চিন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অনেকটা এগিয়ে। ফিয়োর ডিজি এবং সিইও অজয় সহায়ের মতে, বহু প্রতিযোগী দেশ রফতানি শুল্কে সুবিধা পায়। ভারতের উৎপাদন ক্ষমতা এবং কর্মী দক্ষতাও অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। ফলে অন্য দেশ অনেক বেশি করে বাজার ধরছে। পিছিয়ে পড়ছে ভারত।
এই জন্যই কী কারণে ভারত বাজার হারাচ্ছে তা খুঁজে বার করতে সব তথ্যের মাধ্যমে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা, খরচ কমিয়ে এবং পণ্যের মান ও উদ্ভাবনে জোর দিয়ে প্রতিযোগিতায় এগোনোর সওয়াল করেছে সংগঠনটি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)