ভারতে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) ও মূল্যবৃদ্ধির হিসাব কষার তথ্য এবং পদ্ধতি নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছে আইএমএফ। সমালোচনা করেছে ২০২৫-এ দাঁড়িয়ে হিসাবের ভিত্তিবর্ষ ২০১১-১২ সালে রেখে দেওয়ার। যে কারণে এ দেশের এই সমস্ত তথ্য-পরিসংখ্যানের মূল্যায়ন কমিয়েছে তারা। বিষয়টি নিয়ে মোদী সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ করছেন বিরোধীরা। এই অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক বৃদ্ধি ও শিল্পবৃদ্ধির হিসাবের ভিত্তিবর্ষ পাল্টে পরিসংখ্যান প্রকাশের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র। জানাল, দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতি শেষ। ফেব্রুয়ারি থেকেই চালু হবে নতুন ভিত্তিবর্ষ ধরে হিসাব।
পরিসংখ্যান মন্ত্রক বলেছে, জিডিপি বৃদ্ধি ও শিল্পের ভিত্তিবর্ষ হবে ২০২২-২৩। নতুন নিয়মে এই হার প্রকাশ হবে যথাক্রমে ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ২৮ মে থেকে। মূল্যবৃদ্ধির নতুন ভিত্তিবর্ষ ২০২৪। হিসাব বেরোবে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই বদল নিয়ে নানা পক্ষের মত শুনতে আজ আলোচনায় বসবে মন্ত্রক। থাকবেন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন, নীতি আয়োগ, পরিসংখ্যান মন্ত্রকের কর্তারা।
আইএমএফ বলেছিল, ভারতে জিডিপি বৃদ্ধি-সহ নানা পরিসংখ্যানের জন্য নেওয়া তথ্য বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্কহীন। বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়ানো হয়। মূল্যবৃদ্ধির ভিত্তিবর্ষ সেকেলে। ফলে আর্থিক অবস্থার প্রকৃত ছবি ফুটে ওঠে না। এই রিপোর্ট প্রকাশের পরেই কেন্দ্র জানায় জুলাই-সেপ্টেম্বরে প্রত্যাশা ছাপানো ৮.২% আর্থিক বৃদ্ধির হারের কথা। মূল্যবৃদ্ধির হারও দেখা যায় তলানিতে। ফলে তৈরি হয় সংশয়ও। তাই ভিত্তিবর্ষ বদলের ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ, দাবি একাংশের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)