E-Paper

বিরোধিতায় কিউই দেশের জোট সরকারের শরিকেরা, আদৌ পাশ হবে ভারত নিউ জ়িল্যান্ড বাণিজ্যচুক্তি?

সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও লাক্সনের মধ্যে ফোনে কথা হয়। তার পরেই ঘোষণা হয়, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দু’দেশের দর কষাকষি শেষ। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান, ভারত আমেরিকার চুক্তিও দর কষাকষির চূড়ান্ত পর্যায়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৪৬

—প্রতীকী চিত্র।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে ৫০% শুল্ক জরিমানা চাপানোর পরেই মোদী সরকার রফতানিতে ধাক্কা সামলাতে বিকল্প বাজারের সন্ধানে নেমেছিল। ইউরোপ, আফ্রিকা, ওশনিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দর কষাকষি শুরু হয়। সোমবার মিলল সেই চেষ্টার আরও একটি ফল। ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড মাত্র ন’মাসের নজিরবিহীন সময়ে অবাধ বাণিজ্য চুক্তির কথাবার্তা সেরে ফেলল। যা রূপায়িত হলে ভারতীয় পণ্য নিউ জ়িল্যান্ডে বিনা শুল্কে প্রবেশ করতে পারবে। সে দেশের পণ্যও ভারতে একই সুবিধা পাবে। তবে সে দেশের কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য এ দেশে শুল্ক কমবে না। এখানকার বহু কর্মী নিউ জ়িল্যান্ডে কাজের সুযোগ পাবেন।

মোদী সরকার এই চুক্তি নিয়ে প্রচারে নামলেও তা কবে রূপায়িত হবে, এ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ সে দেশের জোট সরকারের অন্যতম শরিক দল ‘নিউ জ়িল্যান্ড ফার্স্ট’-এর নেতা তথা দেশের বিদেশমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স জানিয়েছেন, তাঁরা সংসদে এই চুক্তিতে সিলমোহরের বিরোধিতা করবেন। শরিক দলের সমর্থন ছাড়া নিউ জ়িল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, জোটের প্রধান দল ন্যাশনালের নেতা ক্রিস্টোফার লাক্সনের পক্ষে সে দেশের সংসদে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে সিলমোহর আদায় করা কঠিন। পিটার্স আজ জানান, এই চুক্তিতে ভারত থেকে অভিবাসনের ক্ষেত্রে অনেক ছাড় রয়েছে। বিনিময়ে নিউ জ়িল্যান্ড যথেষ্ট সুবিধা পায়নি। বিশেষত দুগ্ধজাত পণ্যে ভারত ছাড় দেয়নি।

সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও লাক্সনের মধ্যে ফোনে কথা হয়। তার পরেই ঘোষণা হয়, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দু’দেশের দর কষাকষি শেষ। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান, ভারত আমেরিকার চুক্তিও দর কষাকষির চূড়ান্ত পর্যায়ে। নিউ জ়িল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির ফলে দেশের চাষি, ছোট মাঝারি শিল্প, বস্ত্র-চামড়া-জুতোর মতো শ্রমনিবিড় শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং ও কারখানার পণ্য, গাড়ি, বৈদ্যুতিন পণ্য, যন্ত্রাংশ, প্লাস্টিক, ওষুধ ও রাসায়নিক শিল্প উপকৃত হবে। তবে কেন্দ্র নিউ জ়িল্যান্ডের রফতানি করা পণ্যে ৯৫% শুল্ক ছাড় দিলেও দুধ, ক্রিম, চিজ, পেঁয়াজ, ভুট্টা, ভোজ্য তেলের মতো কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যকে শুল্কের মাধ্যমে আগলে রাখছে।

বাণিজ্য মন্ত্রকের মতে, এই চুক্তিরফলে ১৩০ কোটি ডলারের দ্বিপাক্ষিক লেনদেন বহুগুণ বাড়বে। নিউ জ়িল্যান্ড১৫ বছরে ২০০০ কোটি ডলার ঢালবে ভারতে। লগ্নি না হলে তাদের কিছু সুবিধা মুলতুবি হবে। ভারতের যোগ্য শিক্ষক, রাঁধুনির মতো পেশাদারদের নিউ জ়িল্যান্ডে তিন বছর কাজের জন্য ৫০০০ ভিসা দেওয়া হবে। সেখানে পড়তে যাওয়া পড়ুয়া, গবেষকরা পড়াশোনার সময় ও শিক্ষার শেষে তিন-চার বছর কাজের ভিসা পাবেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Trade Deal Tariff

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy