এক দিকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য, অন্য দিকে মস্কো-বেজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা— এমন আচরণ যে তারা মোটেই ভাল চোখে দেখছে না, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল আমেরিকা। ভারতের প্রতি বার্তা, যদি সহযোগী হওয়ার ইচ্ছা থাকে তা হলে সহযোগীর মতোই আচরণ করতে হবে।
রবিবার হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘ভারত এখন রাশিয়া এবং চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে। দিল্লি যদি আমেরিকার কৌশলগত সহযোগী হতে চায়, তা হলে তাদের তেমনই আচরণ করতে হবে। তারা এখন বিশ্বে রুশ তেলের সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করছে। নিষিদ্ধ অশোধিত তেল থেকে দামি রফতানি পণ্য উৎপাদন করছে। যার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ডলার যাচ্ছে মস্কোর হাতে।’’ এমনকি ঝাঁঝ বাড়িয়ে নাভারোর মন্তব্য, ভারতের হাতে অত্যাধুনিক সামরিক ক্ষমতা তুলে দেওয়াও ঝুঁকির। কারণ সেই একই। রাশিয়া এবং চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, আমেরিকার এই কূটনীতিবিদের বক্তব্য যথেষ্ট রূঢ়। যদিও বেশ কিছু বিষয় তাঁর কথাতেও পরিষ্কার হয়নি। যেমন, ইউরোপ এবং আমেরিকা রাশিয়া থেকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও পণ্য কিনছে কেন, সে প্রশ্নের উত্তর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে দিতে পারেননি। সে ব্যাপারে মুখ খোলেননি নাভারোও।
রুশ তেলের আমদানিকারী ভারতের উপরে অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক (মোট ৫০%) বসলেও চিনকে ছাড় কেন, এই প্রশ্নে এ দিন আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর ব্যাখ্যা, আরও এক দফা অবাক করেছে কূটনৈতিক মহলকে। তাঁর বক্তব্য, চিনে শোধিত পেট্রোপণ্য বিশ্ব বাজারে বিক্রি হয়। তার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপালে সেই পণ্যের দামে অস্থিরতা তৈরি হবে। তবে ইউরোপের কিছু দেশ তা কেনা থেকে সরে আসতে চেষ্টা করছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)