E-Paper

ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক ৫০% করলেন ট্রাম্প! মন্ত্রীর দাবি, ভারতে প্রভাব সামান্য

কুমারস্বামীর দাবি নিয়ে দেশ জুড়ে চর্চা তুঙ্গে। কারণ, মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ আগেই বলেছিল, এই শুল্ক বসলে ভারতে ইস্পাত উৎপাদন এবং দাম সঙ্কটের মুখে পড়বে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫ ০৯:২২
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক ২৫% থেকে বাড়িয়ে ৫০% করার প্রস্তাব অস্বস্তি বাড়িয়েছিল মোদী সরকারের। বিশেষত রফতানিকারী সংস্থাগুলি যেহেতু এতে ক্ষয়ক্ষতির ভয় পাচ্ছেন। প্রমাদ গুনছেন ভারতের ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদকেরাও। কারণ, চড়া শুল্কে আমেরিকার বাজার বন্ধ হলে কিছু দেশ ভারতে রফতানি বাড়িয়ে এখানকার সংস্থাগুলিকে বিপাকে ফেলতে পারে। তার উপর দ্রুত বাণিজ্য চুক্তি সারতে যখন আলোচনা গতি পাচ্ছে, ঠিক তখনই এই শুল্ক বৃদ্ধি সংশয় তৈরি করে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সমঝোতার সদিচ্ছা নিয়ে। এই অবস্থায় সোমবার কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী জানালেন, ভারতে এই শুল্কের প্রভাব পড়বে অতি সামান্য।

কুমারস্বামীর দাবি নিয়ে দেশ জুড়ে চর্চা তুঙ্গে। কারণ, মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ আগেই বলেছিল, এই শুল্ক বসলে ভারতে ইস্পাত উৎপাদন এবং দাম সঙ্কটের মুখে পড়বে। শিল্প বিশেষজ্ঞদেরও দাবি, এতে ধাক্কা খাবে রফতানি। অ্যালুমিনিয়াম শিল্পের সংগঠন এএআই-এর আশঙ্কা, ভারতীয় অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদক সংস্থাগুলি এমনিতেই দেশে সস্তার আমদানি বাড়ায় চাপে রয়েছে। এর উপর ৫০% শুল্ক বসলে তাদের বড় মাপের ক্ষতি হতে পারে।

বুধবার থেকে ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়ামে ওই দ্বিগুণ শুল্ক বসার কথা। ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং রফতানি শিল্পের সংগঠন ইইপিসি-র দাবি, বিরাট ধাক্কা খেতে পারে তাদের পণ্যগুলি। এই দুই ধাতু এবং সেগুলির থেকে তৈরি পণ্যই ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী রফতানির এক তৃতীয়াংশ জুড়ে। এখন বছরে প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য সেখানে যায়। গত মার্চে ট্রাম্পের চাপানো ২৫% শুল্ক ইতিমধ্যেই রফতানিকারীদের বিপাকে ফেলেছে। তা বেড়ে ৫০% হলে ওই সব পণ্যের দাম বিপুল বাড়বে। যা কেড়ে নেবে বাজার। দেশের বাজারেও মার খেতে পারে সংস্থাগুলির উৎপাদন।

কংগ্রেস মনে করাচ্ছে, ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়ামের শুল্ক ভারতকে আঘাত করবে বলেই ডব্লিউটিও-তে নালিশ করেছে তারা। কোন যুক্তিতে ইস্পাতমন্ত্রী দেশে এর প্রভাব অল্প জানালেন, প্রশ্ন তাদের। এ দিন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের মন্তব্য, ‘‘দেখা যাক কী হয়।...ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক ভাল এবং সমস্যা মেটাতে তারা একজোট হয়েই কাজ করবে।’’ গয়ালের দাবি, দু’দেশ একে অপরের সংস্থাগুলিকে নিজেদের বাজারে ব্যবসা ছড়াতে দিতে আগ্রহী। সেই আলোচনা ভাল এগোচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Donald Trump Steel Factory

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy