শক্তিকান্ত দাস। পিটিআই
ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির চাকায় যাতে গতি না কমে, সে দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সদা সতর্ক নজর থাকবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। একই সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতির উপরে একের পর এক আছড়ে পড়া সমস্যার ঢেউয়ের মোকাবিলায় উদ্ভাবনী ঋণনীতির পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি।
ওয়াশিংটনে আইএমএফ এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের বৈঠকের ফাঁকে এক বক্তৃতায় শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, ২০১৯-২০ সালে ভারতের সম্ভাব্য বৃদ্ধি ৭.২%। বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির মধ্যে দ্রুততম। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে আরও চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে তৈরি শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
দীর্ঘ দিন ধরেই মূল্যবৃদ্ধির হার রয়েছে লক্ষ্যমাত্রার বেশ খানিকটা (৪%) নীচে। কিন্তু উল্টো দিকে, ২০১৮ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার নেমেছে ৬.৬ শতাংশে। পাঁচ ত্রৈমাসিকের মধ্যে সব থেকে নীচে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভবত এই কারণেই বৃদ্ধির হার চাঙ্গা করার কথা জোর দিয়ে বলছেন শক্তিকান্ত। বৃদ্ধির চাকায় গতি ফেরানোর জন্যই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্প্রতি পর পর দু’বার ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে সুদ ছাঁটাই করেছে বলে তাঁদের অভিমত।
পাখির চোখ
• ভারতে বৃদ্ধির রেখচিত্র কোন দিকে এগোচ্ছে, তাতে নজর রাখবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। পদক্ষেপ করা হবে তাকে আরও চাঙ্গা করার জন্য।
• অর্থনীতি, জিনিসপত্রের দাম ইত্যাদিতে যেন ভারসাম্য টোল না খায়, তা নিশ্চিত করতেও সতর্ক থাকবে তারা।
বিশ্বে ঝুঁকি
• কিছুটা ঝিমিয়ে পড়া রফতানি এবং আর্থিক বৃদ্ধির হার।
• বাণিজ্য যুদ্ধ, ব্রেক্সিট।
• উন্নত দুনিয়ার অর্থনীতির চাকায় গতি কমার প্রভাব স্পষ্ট উন্নয়নশীল দেশেও। সমস্যা বাড়ছে বিপুল বিদেশি লগ্নি হঠাৎ ফিরে গেলে।
• বিশ্ব বাজারে তেলের দামের ওঠা-পড়ার সঙ্গে তাল মেলাতেও সমস্যায় তারা।
শক্তি-শেল
• শক্তিকান্তের মতে, দরকার জরুরি উদ্ভাবনী ঋণনীতি। রেপো রেটের মতো মূল সুদ সাধারণত বাড়ে-কমে ২৫ বেসিস পয়েন্ট বা তার গুণিতকে। তা ১০, ১৫, ৩৫ বেসিস পয়েন্ট ইত্যাদিই বা হতে পারে না কেন?
বিশ্ব অর্থনীতি, বিশেষত উন্নয়নশীল দুনিয়ার সামনে এখন মূল চ্যালেঞ্জগুলি কী, এ দিন তার তালিকা তুলে ধরেছেন শক্তিকান্ত। সওয়াল করেছেন উদ্ভাবনী ঋণনীতির পক্ষে। তাঁর মতে, সব সময় রেপো রেটের মতো মূল সুদ ২৫ বেসিস পয়েন্ট বা তার গুণিতকে বাড়াতে-কমাতে হবে কেন? প্রয়োজন অনুযায়ী তো তা ১০ বা ৩৫ বেসিস পয়েন্টও হতে পারে? সে ক্ষেত্রে ওই সুদ-শক্তির সদ্ব্যবহার হয় বলে গভর্নরের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy