স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। ফলে, রবিবার থেকে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল দিয়ে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, পেট্রাপোল মারফত বাংলাদেশ থেকে দৈনিক প্রায় ২৫ ট্রাক তৈরি পোশাক ঢুকতে, যা তাদের অন্যতম রফতানি পণ্য। আমদানি আটকানো হয়েছে আরও কিছু সামগ্রীর। সরকারি সূত্র বলছে, দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে সুবিচার এবং সাম্যের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। দেশীয় শিল্পও উপকৃত হবে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আমদানিকারী একাংশ উদ্বিগ্ন। পোশাক আমদানির জন্য তাঁরা ৯০% টাকা বাংলাদেশের রফতানিকারীদের দিয়ে দিয়েছেন। ফলে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে।
সরকারি মহলের দাবি, এই পড়শির বাণিজ্যিক সম্পর্ক এ বার ‘পারস্পরিক শর্ত’ নির্ভর হবে। ভারত থেকে সুতো এবং চাল আমদানিতে একই রকম নিষেধাজ্ঞা বসিয়েছে ঢাকা। অন্যান্য পণ্যেও নজরদারিও বাড়াচ্ছে। নয়াদিল্লির সিদ্ধান্ত এর পাল্টা জবাব।
গত শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রকের ডিজিএফটি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। শুধু মুম্বইয়ের নভ শেভা এবং কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে তা আনা যাবে। প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, কর্বোনেটেড পানীয়, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, তুলো ইত্যআদিও অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজ়োরাম, ফুলবাড়ি এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংরাবান্ধার ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন এবং চেক পোস্ট দিয়ে এ দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের নিষেধাজ্ঞা দেশীয় শিল্পকেও সাহায্য করবে, বিশেষত ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলিকে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)