আগামী পাঁচ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ৫০,০০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে ভারত এবং আমেরিকা। এ বছরের মধ্যেই সেই সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে যখন বিভিন্ন মহল নিট লাভ-ক্ষতির হিসাব কষছে, তখন রফতানি শিল্প মনে করছে বাণিজ্য চুক্তির ফলে দিনের শেষে তাদের হাতে মুনাফাই থাকবে। বিশ্বের জোগান শৃঙ্খলে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবে এই চুক্তি।
২০২৪ সালে দু’পক্ষের বাণিজ্যের বহর ছিল ১৩,০০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি। আর তার মধ্যে ভারতের উদ্বৃত্ত ৪৫০০ কোটি। অর্থাৎ, চুক্তি কার্যকর হলে বাণিজ্যের অঙ্ক চার গুণ হতে পারে। তাতে বিপুল লাভ দেখছে রফতানি সংস্থাগুলি। বিশেষত প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা এবং বিকল্প বিদ্যুতের যন্ত্রাংশ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলির লাভ হতে পারে। ভারতের রফতানি সংস্থাগুলির সংগঠন ফিয়ো-র প্রেসিডেন্ট অশ্বানী কুমার মনে করেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হলে আমদানি-রফতানির সামনে অনেক বাধা সরে যাবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ তথা হাইটেক গিয়ার্সের চেয়ারম্যান দীপ কাপুরিয়া বলেন, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যে এখন ভারতের উদ্বৃত্ত রয়েছে। তা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে রফতানি বাড়াতে কিছুটা বাড়তি সাহায্য করবে। দুই নেতা চুক্তি করতে রাজি হয়েছেন। এটা খুবই ইতিবাচক ঘটনা।’’
বাণিজ্য উপদেষ্টা সংস্থা জিটিআরআই-এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব অবশ্য কিছুটা সন্দিহান। তাঁর বক্তব্য, আমেরিকার সার্বিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আগ্রহ নেই। এই অবস্থায় ভারতের উচিত ক্ষেত্র-নির্ভর চুক্তিতে জোর দেওয়া।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)