বিদ্যুৎ বিনিময় চুক্তিতে সই করল ভারত ও নেপাল। মঙ্গলবারের এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ তকমা দিয়ে দু’দেশের কূটনৈতিক মহল জানিয়েছে, এর জেরে দু’টি দেশের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে যা উৎপাদন হবে, তা পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদান করতে পারবে তারা। পাশাপাশি জলবিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন পথ খুলে যাবে।
অগস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেপাল সফরের সময়েই দু’পক্ষ এই চুক্তি করার ব্যাপারে একমত হয়েছিল। এই বিদ্যুৎ বিনিময় চুক্তি বা পাওয়ার ট্রেড এগ্রিমেন্ট-এর খসড়াটি সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তৈরি করে ফেলে ভারত ও নেপাল। তার ভিত্তিতেই এ দিন চুক্তিতে সই করে দু’দেশ। নেপালের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শক্তি মন্ত্রকের সচিব রাজেন্দ্র কিশোর ক্ষত্র এবং ভারতের তরফে ওই একই মন্ত্রকের সচিব প্রদীপ কুমার সিংহ।
সিংহ জানান, বিদ্যুৎ লেনদেনে সহযোগিতা এ বার থেকে আরও সহজ হবে। এই চুক্তির আওতায় যে-সব সুবিধা হবে, তার মধ্যে রয়েছে:
• একটি স্থায়ী নির্দেশিকার ভিত্তিতে মত বিনিময় করা
• দু’দেশের যুগ্ম সচিবদের নেতৃত্বে কর্মী গোষ্ঠী গড়া
• প্রতি ৬ মাস অন্তর বৈঠকে বসবে ওই গোষ্ঠী
• চুক্তির আওতার বাইরে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা
• দু’দেশের সচিবদের নেতৃত্বে যুগ্ম স্টিয়ারিং কমিটি গড়া
• নিয়মিত বৈঠকে বসবে এই কমিটি
সিংহ বলেন, “নয়া ব্যবস্থায় সপ্তাহে সাত দিন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে।”
পাশাপাশি, ক্ষত্র বলেন, “২০১০ সাল থেকে আমরা যে-আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, এই বিদ্যুৎ বিনিময় চুক্তি তারই ফসল। ভবিষ্যতে গোটা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিনিময়ের পথও সুগম করবে এই চুক্তি।” দু’দেশের সরকার অবিলম্বে এই বিদ্যুৎ বিনিময় চুক্তি রূপায়ণের কাজ শুরু করে দেবে বলেই ক্ষত্র আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই নেপাল সরকার এবং ভারতের জিএমআর গোষ্ঠী ৯০০ মেগাওয়াটের আপার কর্নালি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করার ব্যাপারে চুক্তি করেছে। সেই উপলক্ষে হাজির ছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy