E-Paper

উৎসবের মরসুমের দোসর বিভিন্ন পণ্যে জিএসটি কমা, চাহিদা বাড়ায় দেশ জুড়ে শিল্পোৎপাদন বাড়ল ৪ শতাংশ

শিল্পবৃদ্ধির হারকে উৎসাহব্যাঞ্জক জানালেও, পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক মনে করেন, এটা মরসুমি। উৎসবের কেনাকাটা বৃদ্ধি বড় ভূমিকা নিয়েছে।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৬:৫৯
Share
Save

এক দিকে উৎসবের মরসুম। অন্য দিকে বহু পণ্যে জিএসটির হার কমে যাওয়া। মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে দাবি, এই দুই কারণে গত মাসে দেশে শিল্পবৃদ্ধির হার ৪% হয়েছে। বাড়তি চাহিদা কল-কারখানায় উৎপাদন বাড়িয়েছে। যা এই ক্ষেত্রের বৃদ্ধিকে ঠেলে তুলেছে ৪.৮ শতাংশে। তাতেই উন্নতি ঘটেছে সার্বিক শিল্পোৎপাদনে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, বৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী হলেও আহামরি নয়। সব থেকে কঠিন, শিল্পবৃদ্ধিকে ধারাবাহিক ভাবে ঠেলে তোলা। তবে জিএসটি কমায় আগামী দিনে তার আরও মাথা তোলার সম্ভাবনা।

অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলেন, ‘‘অনিশ্চিত আন্তর্জাতিক আবহে এটা ভাল খবর। তবে জিএসটির হার কমলে এককালীন ভাবে চাহিদা মাথা তুলে উৎপাদন বৃদ্ধিতে মদত জোগায়। তাকে ধারাবাহিক ভাবে ঊর্ধ্বমুখী রাখতে দেশের পরিকাঠামো, শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি লগ্নি বৃদ্ধি জরুরি। সর্বোপরি শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে।

শিল্পবৃদ্ধির হারকে উৎসাহব্যাঞ্জক জানালেও, পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক মনে করেন, এটা মরসুমি। উৎসবের কেনাকাটা বৃদ্ধি বড় ভূমিকা নিয়েছে। তার ধারবাহিকতায় জোর দেন তিনিও। বলেন, ‘‘সেই পথটাই সব থেকে কঠিন। অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি, ডলারে টাকার দামের পতন আমদানির খরচ বাড়াতে পারে। তার উপরে কাঁচামালের দাম বাড়লে পণ্য উৎপাদনের খরচও বাড়বে। যা দাম বাড়াবে। চাহিদা বৃদ্ধির রাস্তায় বাধা পাওয়ার আশঙ্কা তাই থেকেই যাচ্ছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

GST Economy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy