রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি সেজ (বিশেষ আর্থিক অঞ্চল) গড়ার জন্য কেন্দ্রের অনুমোদন চাইল ইনফোসিস। এ জন্য সেজ সংক্রান্ত অনুমোদন পর্ষদের (বোর্ড অব অ্যাপ্রুভালস) কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা। জুনে যেমনটা করেছিল উইপ্রো। আগামী ১২ অগস্ট ইনফোসিসের বিষয়টি পর্ষদের বৈঠকে ওঠার কথা।
রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের পরে এখানে নিজেদের ক্যাম্পাস গড়ার চেষ্টা যে তারা আরও এক বার করবে, বিধানসভা ভোটের আগেই তা বলেছিল ইনফোসিস। জানিয়েছিল, তারা ফের আর্জি জানাবে সেজ তকমার জন্য। সম্ভবত সেই সূত্রেই এই আবেদন।
ইনফোসিসের এ রাজ্যে বিনিয়োগে বাধা প্রথম থেকেই। ২০০৫ সালে কলকাতায় এসে ক্যাম্পাস গড়তে লগ্নির কথা জানিয়েছিলেন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন কর্ণধার এন আর নারায়ণমূর্তি। প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল ৫০০ কোটি লগ্নি ও সেই সূত্রে ৫,০০০ জনের কর্মসংস্থানের। ২০০৬ সালে প্রকল্পের জন্য তদনীন্তন বাম সরকারের কাছে ১০০ একর জমি চায় সংস্থা। কিন্তু সমস্যা হয় দাম নিয়ে। অবশেষে ২০১০ সালের শেষ নাগাদ ৭৫ কোটির বিনিময়ে ৫০ একর দেওয়া হয় তাদের।
কিন্তু তারপরে ফের নতুন জট। গোড়া থেকেই নিজেদের সেজ-বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার বলেছেন সেজ-তকমা না দেওয়ার কথা। তারই জেরে ২০১১ সালে ইনফোসিস জানায় কলকাতার প্রকল্প আপাতত স্থগিত রাখার কথা। ২০১২ সালে তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেঙ্গালুরু গিয়ে সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করলেও, বরফ গলেনি।
এ বারের বিধানসভা ভোটের দলীয় ইস্তেহারে সেজ বিরোধিতার কথা আর আলাদা করে উল্লেখ করেনি তৃণমূল। অন্তত সরাসরি বলেনি বিরোধিতার কথা। তার উপর নবান্নে ফিরে আসার পর থেকে লগ্নি, শিল্পায়ন ও তার হাত ধরে কর্মসংস্থানের কথা বারবার বলছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা সম্প্রতি জানিয়েছে সংস্থাটিও। এ অবস্থায় ইনফোসিসের প্রকল্প-প্রস্তাবের জল কোন দিকে গড়ায়, সে দিকে এখন নজর সকলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy