ছবি: সংগৃহীত
কৃত্রিম মেধা, ব্লকচেন, ইন্টারনেট অব থিঙ্গস-সহ হালফিলের প্রযুক্তির সঙ্গে রাজ্যের নাম জুড়তে বানতলায় তৈরি হচ্ছে উদ্ভাবন (ইনোভেশন) পার্ক। সরকারি সূত্রের খবর, স্বয়ংসম্পূর্ণ এই পরিকাঠামো ব্যবহার করতে দেওয়ার জন্যসংস্থার কাছে কোনও দাম নেবে না রাজ্য সরকার।
বানতলা তথ্যপ্রযুক্তি পার্কে দেড় একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে এই নতুন প্রকল্প। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, মূলত ‘কনটেম্পোরারি টেকনোলজি’ বা সমসাময়িক প্রযুক্তিকে নজরে রেখেই রাজ্য এই পরিকাঠামো তৈরি করছে। এখনও পর্যন্ত যা পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে তৈরি হচ্ছে পাঁচতলা একটি বাড়ি। নির্দিষ্ট প্রযুক্তির জন্য বরাদ্দ থাকবে এক একটি তলা।
লগ্নি টানতে নয়। মেধা টানার লক্ষ্যেই এই প্রকল্পের সূত্রপাত। সরকারি সূত্রে খবর, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের পরের ধাপে পৌঁছতে এই প্রযুক্তির সুযোগ হাতছাড়া যাতে না হয়, তার জন্যই এই পরিকাঠামোগত সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী, রেস্তরাঁর মতো যাবতীয় সুবিধা দেবে রাজ্য। অর্থাৎ অফিস চালাতে যা যা দরকার, তা বিনামূল্যেই দেওয়া হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, পরিকাঠামো চালু করতে আরও এক বছর সময় লাগবে। নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের কর্তারা প্রকল্প পরিদর্শনেও গিয়েছিলেন।
তবে শুধুই নতুন প্রযুক্তি নয়। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পমহলের দাবি, বানতলা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প তালুকে লগ্নিকারীদের নজর ফেরাতেও তৈরি হচ্ছে এই প্রকল্প। প্রায় ১২০ একর জমি জুড়ে বানতলা তথ্যপ্রযুক্তি পার্কে রয়েছে বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের তকমা। ১৮টি সংস্থা বাজার দরে জমিও কিনেছে। সেই তালিকায় রয়েছে কগনিজ্যান্ট, টেক মহীন্দ্রা ও আইগেট-পাটনির মতো সংস্থা। কিন্তু
কগনিজ্যান্ট ছাড়া আর কোনও বড় সংস্থার লগ্নি আলোর মুখ দেখেনি। তার প্রধান কারণ লাগোয়া চর্মশিল্পের দূষণ। এখন দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য উঠেপড়ে লাগলেও সংস্থাগুলির আগ্রহ তলানিতে।
এ ধরনের ‘ইনোভেশন পার্ক’ গড়ার পরিকল্পনা আগেও হয়েছে। বাম আমলে রাজ্যের মেধা সম্পদ ব্যবহার করে ইন্ডিয়া ডিজাইন সেন্টারের পরিকল্পনা করা হয়। সল্টলেকে সেক্টর ফাইভে প্রায় দু’একর জমির উপরে এই পরিকাঠামো তৈরির কথা ছিল। ১২০ কোটি টাকার প্রকল্পে ২৪ তলা বাড়িতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও গবেষণাগার তৈরি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।। পাশাপাশি চিপ তৈরির ‘সফটওয়্যার টুল’ ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাবও ছিল। যে সুবিধার দৌলতে উৎপাদনের খরচ অনেকটা কমাতে পারত সংস্থাগুলি। এই সব সুবিধার কথা জানিয়ে ক্যাডেন্স, কোয়ালকম, টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস, ইন্টেলের মতো সংস্থাকে বিনিয়োগের প্রাথমিক প্রস্তাবও দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সেই প্রকল্প লালফিতের ফাঁসে আটকে যায়। পরে মন্দার বাজারে গোটা পরিকল্পনাই ভেস্তে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy