বিনিয়োগের দুনিয়ায় সোনার আলাদা গুরুত্ব আছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সব সময়েই দুর্দান্ত রিটার্ন দিয়েছে ‘হলুদ ধাতু’। গত কয়েক বছরে যথেষ্ট ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে রুপোর দামও। ফলে লগ্নিতে বৈচিত্র্য আনতে অনেকেই সোনার পাশাপাশি ‘সাদা ধাতু’তেও করছেন বিনিয়োগ। গত ২০ বছরের কতটা রিটার্ন দিয়েছে রুপো? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার উল্লেখ।
মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত দু’দশকে ‘সাদা ধাতু’র দর বেড়েছে ১,৫০০ শতাংশ। ২০০৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর রুপোর স্পট মূল্য ছিল কেজি প্রতি ১২ হাজার ৬৫০ টাকা। ওই সময় যাঁরা এতে এক লাখ টাকা লগ্নি করেছিলেন, তাঁদের হাতে রয়েছে ৭.৯ কেজি ‘সাদা ধাতু’। এ বছরের ২৩ ডিসেম্বর কেজি প্রতি এর বাজারমূল্য ২.০৯ লক্ষ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
ফলে বর্তমানে ৭.৯ কেজি রুপোর দাম দাঁড়িয়েছে ১৬.৫৭ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ গত দু’দশকে ‘সাদা ধাতু’টির দর মোট ১,৫৫৬.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, আগামী দিনে এতে সামান্য পতন দেখতে পাওয়া যেতে পারে। কারণ, রুপোর দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ডে এতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিনিয়োগ। ফলে দামের ক্ষেত্রে অস্থিরতা এবং কিছুটা সংশোধন আসবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলি জানিয়েছে, বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে রুপোর ‘এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড’ বা ইটিএফ দুর্বল হলে এর দামে ২৮ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সংশোধন দেখতে পাওয়া যেতে পারে। তবে তার পরেও ২০২৬ সালে ‘সাদা ধাতু’র মোট দর ২৬ শতাংশ বা তার কিছুটা বেশি বাড়বে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। বর্তমানে বিশ্ববাজারে আউন্স প্রতি রুপো বিক্রি হচ্ছে ৭৪ ডলারে। আর ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে এর দাম ২.৪৫ থেকে ২.৫ লক্ষের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
আরও পড়ুন:
বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, কাঠামোগত দিক থেকে ডিজিটাল যুগের ধাতু হিসাবে রুপোর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৌরশক্তি, গ্রিন এনার্জি, ডেটা সেন্টার বা তথ্যভান্ডার এবং বিদ্যুৎ পরিবহণে এর ব্যবহার উত্তরোত্তর বাড়ছে। আর তাই বিনিয়োগে বৈচিত্র্য রাখতে সোনার পাশাপাশি ‘সাদা ধাতু’তেও লগ্নির পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এই তহবিলে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)