রান্নার গ্যাসের বাড়তি চাহিদা মেটাবে ইরানের আমদানি।
এই প্রথম ইরান থেকে এলপিজি আমদানি করতে চলেছে ভারত। শিল্পমহল সূত্রের খবর, প্রতি মাসে একটি বড় মাপের কন্টেনারে ৪৪ হাজার টন করে রান্নার গ্যাস আমদানির জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির চুক্তি হয়েছে ইরানের সঙ্গে।
এলপিজি সংযোগে উৎসাহ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নীতির জেরে ইতিমধ্যেই বেড়েছে এলপিজি আমদানি। প্রতি মাসে তা ছুঁয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টন। সদ্য শেষ হওয়া গত ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষে এলপিজি-র চাহিদা ৯.৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে ১ কোটি ১০ লক্ষ টন মিটিয়েছে আমদানি। ২০১৫-’১৬ সালে আমদানি ছিল ৮৮ লক্ষ টন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের ইঙ্গিত, আগামী তিন বছরে রান্নার গ্যাস আমদানি বেড়ে দাঁড়াবে ১.৬ কোটি থেকে ১.৭ কোটি টন। কারণ, নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতি হল দরিদ্রদের নাগালে এলপিজি পৌঁছে দেওয়া এবং দূষণ ছড়ায় এমন সব জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা।
আমদানির জন্য যে-সব দেশের সঙ্গে এত দিন ভারত চুক্তি করেছে, সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বেশ কিছু সংস্থা। যেমন, সৌদি আরবের অ্যারামকো, কাতারের তাসউইক, আবু ধাবির ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি ও কুয়েতের পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। এ বার এই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে ইরান। পরে বাংলাদেশ থেকেও এলপিজি আমদানি করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের ইঙ্গিত।
এলপিজি আমদানির দিক থেকে ভারত এখন রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে, চিনের ঠিক পরেই। জাপানকে এ ক্ষেত্রে টপকে গিয়েছে ভারত। তাদের আমদানি ১ কোটি ৬ লক্ষ টন।
চলতি আর্থিক বছরে দেশে এলপিজি-র চাহিদা ৯.৭ শতাংশ বেড়ে ২ কোটি ৩৭ লক্ষ টনে পৌঁছবে বলে আগাম পূর্বাভাস দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। গত ৩১ মার্চ শেষ হওয়া অর্থবর্ষে ৩.৪৫ কোটি রান্নার গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি। এর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় দরিদ্র মহিলাদের নিখরচার ২.২ কোটি সংযোগ। সব মিলিয়ে দেশে মোট এলপিজি গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০.০৮ কোটি। চলতি ২০১৭-’১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য বাড়তি ৩ কোটি এলপিজি সংযোগ দেওয়া, যার মধ্যে ১.৫ থেকে ২ কোটি হবে নিখরচার সংযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy