আশঙ্কা: কাজ বন্ধ চটকলে। ফের কি দেখা যাবে এই ছবি? ফাইল চিত্র
রাজ্যের শ্রম দফতর এবং চটকল মালিকদের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনগুলির একাধিক বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। এই অবস্থায় ১ মার্চ থেকে লাগাতার ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় থাকল সংগঠনগুলি। কাল, মঙ্গলবার শ্রম দফতর অবশ্য ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছে। আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সমস্ত পক্ষ।
চটকলে স্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ, মাসে ১৮,০০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি, শ্রমিকদের বকেয়া প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি মেটানো-সহ কয়েক দফা দাবি নিয়ে চলতি মাসের ১৮ এবং ২২ তারিখে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয় শ্রম দফতরে। কিন্তু সমাধান সূত্র না-মেলায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধী দল পরিচালিত ২১টি শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকার এবং চটকল মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১ মার্চ থেকে শ্রমিকরা কাজে যাবেন না। তবে ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে না তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি।
সিটু নেতা অনাদি সাহুর মতে, ‘‘দাবি না-মানলে ধর্মঘট ছাড়া আর রাস্তা নেই। চটকল মালিকরা বুঝেছেন, সরকার পাশে রয়েছে। ফলে তাঁরা দাবি মানবেন কেন?’’ আইএনটিটিইউসি সভানেত্রী দোলা সেন অবশ্য বলেন, ‘‘ত্রিপাক্ষিক আলোচনা চলছে। এই অবস্থায় ধর্মঘটের ডাক দেওয়া অনৈতিক এবং বেআইনি। দাবি আদায়ে সরকার এবং আমাদের সংগঠন শ্রমিকদের পাশে রয়েছে।’’
শ্রম দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যে চটকলের সংখ্যা ৭৮। শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। ১৯৭২ সালের পরে চটকল শ্রমিকদের মূল বেতন (বেসিক) আর বাড়েনি। বর্তমানে চটকলের স্থায়ী শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ২৫৭ টাকা। মহার্ঘ ভাতা ৪,৫০০ টাকা। বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, এ রাজ্যের চটকল মালিকেরা এই কাঠামোও মানছেন না। বিভিন্ন বেতনের অস্থায়ী শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। চটকলগুলিতে অন্তত ২০% স্থায়ী শ্রমিক রাখা এবং তাঁদের মাসিক ১৮,০০০ টাকা বেতনের দাবি তুলেছে সংগঠনগুলি। মালিকদের অবশ্য দাবি, সরকারের নির্দেশ মতো ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়ানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy