ভারত-ব্রিটেনের অবাধ বাণিজ্য চুক্তি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) উন্নয়নে সাহায্য করবে এবং তার ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে বলে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ দুই দেশের প্রথম সারির শিল্প ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁর বার্তা, ২০৩০ সালের আগেই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অঙ্ক দ্বিগুণ করা সম্ভব হবে। একই কর্মসূচিতে শিল্প সংস্থাগুলিকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়র স্টার্মারের আবেদন, কোন কোন ক্ষেত্রে বাণিজ্যের বাধা দূর করা যায়, তা চিহ্নিত করুক তারা।
গত জুলাইয়ে মোদীর ব্রিটেন সফরে দু’দেশের আর্থিক ও বাণিজ্য চুক্তি সই হয়। তার আড়াই মাস পরে বাণিজ্য ও আর্থিক কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন স্টার্মার। ১২৫ জনের প্রতিনিধি দলে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন শিল্পপতি, উদ্যোগপতি এবং শিক্ষাবিদেরা। আজকের বৈঠকে মোদী বলেন, ‘‘এখন ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৫৬০০ কোটি ডলার। আমি আত্মবিশ্বাসী, ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রার আগেই তা দ্বিগুণ করা সম্ভব হবে।’’ ব্রিটেনের ন’টি বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে ক্যাম্পাস খুলবে বলেও জানান তিনি। শিল্পের প্রতি স্টার্মারের বার্তা, ‘‘এই চুক্তির সর্বোচ্চ সুফল যাতে আপনারা পান, তা আমরা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করব।’’ তাঁর দাবি, জুলাইয়ের চুক্তির পরে অল্প সময়ের মধ্যেই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও লগ্নি ৬০০ কোটি ডলার বেড়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান, আজ বাণিজ্য চুক্তির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনার জন্য তৈরি যৌথ কমিটি পুনর্গঠনের শর্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
আজ ‘গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্ট ২০২৫’-এ ভারতের প্রযুক্তি ও আর্থিক অগ্রগতির অংশীদার হওয়ার জন্য ব্রিটেন-সহ সমস্ত দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, আর্থিক প্রযুক্তি শুধু ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে বদলেই দেয়নি, সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নেও সাহায্য করছে। এই প্রযুক্তির উন্নতিতে অন্যান্য দেশকেও সাহায্য করছে ভারত।
২০২৮ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে পা বাড়াচ্ছে। ব্রিটেন এই পথে তাদের অংশীদার হতে প্রস্তুত।... কী ভাবে বাণিজ্যের বিভিন্ন বাধা দূর করা যায় তা চিহ্নিত করুক দুই দেশের শিল্প ক্ষেত্র।
— কিয়র স্টার্মার
প্রধানমন্ত্রী, ব্রিটেন
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)