সারা সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করা প্রয়োজন। এমনকি রবিবার বাড়িতে বসে ‘স্ত্রীর মুখ না দেখে’ অফিস গিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এলঅ্যান্ডটি সংস্থার চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যন। তবে নানা তর্ক-বিতর্কের পর নারীদিবসের আবহে সংস্থার মহিলা কর্মীদের জন্য বিশেষ ‘উপহার’ দিলেন তিনি। এ বার থেকে মাসে এক দিন করে সবেতন ঋতুকালীন ছুটি পেতে পারেন সংস্থার মহিলা কর্মীরা। এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এলঅ্যান্ডটি সংস্থার মোট কর্মীসংখ্যা ৬০ হাজার। তাঁদের মধ্যে ৯ শতাংশ মহিলা কর্মী রয়েছেন। অর্থাৎ সংস্থার মোট ৫ হাজার মহিলা কর্মী প্রতি মাসে এক দিন সবেতন ঋতুকালীন ছুটির সুবিধা লাভ করতে পারেন। নারীদিবস উপলক্ষে সংস্থার মহিলা কর্মীদের কথা চিন্তা করে এই পদক্ষেপ করেছেন এলঅ্যান্ডটি কর্তা। তবে এই ছুটির জন্য রয়েছে বিশেষ শর্তও। ছুটির এই নীতি শুধুমাত্র মূল সংস্থার কর্মীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। নীতিটি কী ভাবে বাস্তবায়িত করা যায় তা নিয়ে সংস্থার তরফে চূড়ান্ত আলোচনা চলছে।
ভারতের কিছু বেসরকারি সংস্থায় যদিও এই নীতি আগে থেকেই চালু রয়েছে। যেমন অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা জ়োম্যাটোর মহিলা কর্মীরা ২০২০ সাল থেকে বছরে সর্বাধিক ১০ দিন সবেতন ঋতুকালীন ছুটি পাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটি বাধ্যতামূলক করার আবেদন জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘এই ধরনের ছুটি বাধ্যতামূলক করা হলে মহিলারা কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে পারেন। মহিলাদের রক্ষা করার জন্য নির্দেশ যদি তাঁদের ক্ষতি করে, তা হলে তা আমরা চাই না।’’ বর্তমানে ভারতে শুধুমাত্র বিহার, ওড়িশা এবং কেরলেই মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটির নীতি চালু রয়েছে। এ বার সেই পথে হাঁটল এলঅ্যান্ডটি সংস্থাও।