জনধন অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা নিয়ে বহু দিন ধরেই মোদী সরকারকে নিশানা করছে বিরোধী শিবির। মঙ্গলবার সংসদে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব ফের বিতর্ক উস্কে দিল। এ দিন রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি জানালেন, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার আওতায় এখনও পর্যন্ত খোলা হয়েছে ৫৪.০৩ কোটি অ্যাকাউন্ট। তার মধ্যে ১১.৩০ কোটি অ্যাকাউন্টে কোনও লেনদেন হচ্ছে না। আর সেই সব নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টে পড়ে আছে ১৪,৭৫০ কোটি টাকা (২০ নভেম্বরের হিসাব)।
সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, জনধন অ্যাকাউন্টের সাফল্য নিয়ে বরাবর বড়াই করে মোদী সরকার। নিম্নবিত্ত মানুষদের বড় অংশ এই অ্যাকাউন্ট খোলায়, তাঁদের ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় আনার কৃতিত্ব দাবি করে। অথচ সেই সব অ্যাকাউন্টের এতগুলি নিষ্ক্রিয়। এত টাকা অব্যবহৃত হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে প্রশ্ন থাকছেই। তবে সরকারি মহলের দাবি, শতাংশের হিসেবে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট আগের থেকে কমেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ২০১৭-র মার্চে তা ছিল ৩৯.৬২%। গত মাসে হয়েছে ২০.৯১%।
কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টানা দু’বছর লেনদেন না হলে সেটিকে নিষ্ক্রিয় (ইনঅপারেটিভ) অ্যাকাউন্ট বলে ধরা হয়। পঙ্কজের দাবি, ব্যাঙ্কগুলি এই ধরনের অ্যাকাউন্টে নিয়মিত নজরদারি চালায় এবং বিষয়টিতে নজর রাখে সরকারও। কেন্দ্র আগেই ব্যাঙ্কগুলিকে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমাতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে। যে কোনও সময়ে কেওয়াইসি জমা দিয়ে নিখরচায় এই ধরনের অ্যাকাউন্ট ফের চালু করা যায়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)