জিএসটির হার কমিয়ে বুধবার রাতে কার্যত সাধারণ রোজগেরে মানুষের জন্য আর্থিক ত্রাণ ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু তাতে উচ্ছ্বাসের উত্থান স্থায়ী হল না বৃহস্পতিবারের শেয়ার বাজারে। বরং বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লগ্নির উৎসাহ মিলিয়ে গেল। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, এর কারণ কি শুধুই লগ্নিকারীদের হাতের শেয়ার বেচে মুনাফা তুলে নেওয়ার হিড়িক? নাকি অন্য কিছুও রয়েছে? এ দিন সেনসেক্স ১৫০.৩০ পয়েন্ট উঠে ৮০,৭১৮.০১ অঙ্ক হয়েছে। নিফ্টি উঠেছে মাত্র ১৯.২৫। পৌঁছেছে ২৪,৭৩৪.৩০-এ। ১ ডলারের দাম ১০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮৮.১২ টাকা।
সকালের দিকে অবশ্য শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখা যায় লগ্নিকারীদের মধ্যে। জিএসটির হার এবং কাঠামোয় সংশোধন প্রত্যাশা মতোই সেনসেক্সকে ৮৮৮.৯৬ পয়েন্ট ঠেলে তোলে। কিন্তু শেষে তা বন্ধ হয় মাত্র ১৫০.৩০ উত্থানে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, আগের দিন জিএসটি-র হার কমার প্রত্যাশাতেই যেখানে সূচকটি ৪১০ উঠেছিল, সেখানে তা বাস্তবায়িত হওয়ার পরে বিক্রির চাপ ধরে রাখতে গিয়ে হিমসিম খেতে হল কেন!
ভ্যালু রিসার্চের এমডি শৈলেশ সরাফের বক্তব্য, ‘‘সুবিধা দেওয়া হয়েছে ২%। বছরে এখন জিএসটি সংগ্রহের অঙ্ক ২২ লক্ষ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৪৭,০০০ কোটি টাকার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ দিন সকালের উত্থান ছিল প্রাথমিক উচ্ছ্বাসের প্রকাশ। কিন্তু জিএসটি-র আসল হিসাব কষার পরে সূচক সেই উচ্চতা থেকে ক্রমাগত পড়েছে। আমার ধারণা, ভবিষ্যতে আরও নামবে।’’ আর এক বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলেন, ‘‘রফতানিতে যে ধাক্কা লেগেছে, তার ক্ষতিপূরণ দেশের বাজারে চাহিদা বাড়িয়ে আদৌ কতটা হবে সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। সেই হিসাব কষেই বাজার ঝিমিয়ে পড়ে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)