‘সেলেরিও’ এবং ‘অল্টো কে১০’-এর পরে এ বার ‘ওয়াগন আর’ গাড়িটিতেও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিতে গিয়ার বদলের সুবিধা আনল মারুতি-সুজুকি (এমএসআই)। যার পোশাকি নাম ‘অটো গিয়ার শিফট’ (এজিএস)।
বিদেশে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিতে গিয়ার বদলের ব্যবস্থার চল বেশি হলেও মূলত বাড়তি দামের জন্যই ভারতে এত দিন তা খুব একটা জনপ্রিয় হয়নি। প্রচলিত পদ্ধতিতে হাত দিয়ে ঠেলে গিয়ার বদলের সময়ে ক্লাচের ব্যবহার জরুরি। যে-সব রাস্তায় বেশি গাড়ি চলে বা রাস্তা খারাপ, সেখানে এই ব্যবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় চালককে। গাড়িতে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি থাকলে গতি অনুযায়ী গিয়ার নিজে থেকেই বদল হয়। কিন্তু এই সুবিধার জন্য ভারতের বাজারে প্রচলিত গাড়ির চেয়ে কমপক্ষে এক লক্ষ টাকা বাড়তি দিতে হত ক্রেতাকে।
সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় না-হলেও মারুতি ‘অটোম্যাটিক ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন’ (এএমটি) বা এজিএস প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে। এ ক্ষেত্রে গিয়ার বদল গাড়ির গতি অনুযায়ী হলেও সম্পর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির মতো তত বেশি খরচ হয় না। সেই কারণেই ভারতে কিছু সংস্থা য়েমন সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির গাড়ি আনছে, তেমনই অনেকে এএমটি প্রযুক্তির গাড়ি আনছে।
এমএসআই-এর এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর আর এস কালসি সম্প্রতি এজিএস সুবিধা দিয়ে ওয়াগন-আর বাজারে আনার কথা ঘোষণা করে জানান, আরও বেশি মানুষের কাছে এই প্রযুক্তির সুযোগ পৌঁছে দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। এবং এই গাড়িটিও প্রচলিত পদ্ধতির ওয়াগন-আর-এর মতোই এক লিটার জ্বালানিতে ২০.৫১ কিলোমিটার যাবে। ওয়াগন-আর-এর মতোই মারুতি-সুজুকির প্রায় একই ধরনের অন্য গাড়ি ‘স্টিঙ্গরে’-তেও এজিএস সুবিধা আনছেন তাঁরা।
দুটি গাড়িতে যাত্রী নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে সংস্থাটি। এমএসআই জানিয়েছে, ওই দুটি গাড়ির সব সংস্করণেই চালক ও সামনের যাত্রীর জন্য দুটি এয়ারব্যাগ এবং ‘অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম’ থাকবে। কালসির কথায়, ‘‘গাড়ি দুটি হবে দেশের স্মার্ট-কার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy