সোনার দামে হাতে ছেঁকা লাগার জোগাড়। রুপোর দামও ঊর্ধ্বমুখী। এই দুই ধাতুর দাম নিয়ে সর্বত্র হইচই। এই ফাঁকে আরও একটি ধাতু নিঃশব্দে বিনিয়োগকারীদের লাভের মুখ দেখিয়েছে। সেটি তামা। হলুদ ও সাদা ধাতুর পাশাপাশি লাল রঙের ধাতুর দামও চ়ড় চড় করে বাড়ছে। এই বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম টন প্রতি প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১০ লক্ষ টাকারও বেশি। মূলত এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)-এর পরিকাঠামোর জন্য তামার চাহিদা হুহু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বছরে এখনও পর্যন্ত, তামার দাম ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালের পর লাল ধাতুর সর্বোচ্চ বৃদ্ধি দেখা গেল ২০২৫ সাল।
আরও পড়ুন:
পাওয়ার গ্রিড, ডেটা সেন্টার, বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষেত্রে তামা অপরিহার্য। বিভিন্ন দেশে তৈরি হওয়া ডেটা সেন্টার ও পুনর্নবীকরণ শক্তি প্রকল্পগুলি চালাতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এই প্রকল্পে বিদ্যুৎক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক উন্নত করার জন্য বিশ্বব্যাপী কয়েক হাজার কোটি ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ক্ষমতার জন্য তামার চাহিদা আকাশছোঁয়া হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, চাহিদা বৃদ্ধির কারণে তামার এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছেন অনেকেই। ধাতব পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধির আরও একটি কারণ এটি।
আরও পড়ুন:
কানাডার স্প্রট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বের প্রথম তামার ইটিএফ চালু করে। এই ফান্ডে প্রায় ১০ হাজার টন তামা মজুদ রয়েছে এবং এ বছর প্রায় ৪৬ শতাংশ লাভ হয়েছে। এর একটি ইউনিটের দাম প্রায় ১৪ কানাডীয় ডলার। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এই বছর তামার বাজারে ১ লক্ষ ২৪ হাজার টন ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে তা বেড়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টনে পৌঁছোতে পারে। উৎপাদনের সমস্যাও এই ঘাটতিকে ইন্ধন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে মত খনি সংস্থাগুলির। গ্লেনকোরের মতো প্রধান খনি সংস্থাও ২০২৬ সালের উৎপাদন অনুমান কমিয়ে দিয়েছে। ফলে আগামী বছরগুলিতে লাল ধাতুর দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশা বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশের।