৩০০০ অস্থায়ী কর্মীকে ছেঁটে ফেলল মারুতি সুজুকি। —ফাইল চিত্র
বিক্রিতে ভাটা। তার উপর অতিরিক্ত করের বোঝা। কর্মীদের ‘বলি’ দিয়ে সঙ্কট কাটানোর চেষ্টা। গাড়ি শিল্পে এই আশঙ্কা ছিলই। এ বার সেটাই জাঁকিয়ে বসতে শুরু করল। তিন হাজার অস্থায়ী কর্মীকে ছেঁটে ফেলল মারুতি সুজুকি। দিল্লিতে বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ার হোল্ডারদের এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সংস্থার চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব। একই সঙ্গে জানালেন, ঘুরে দাঁড়াতে কমপ্রেসড ন্যাচরাল গ্যাস (সিএনজি) চালিত গাড়ি তৈরিতে জোর দিচ্ছে মারুতি সুজুকি।
জুলাইয়ের সমীক্ষা বলছে, টানা ন’মাস গাড়ির বিক্রি কমতে কমতে কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। নানা অফারের পাশাপাশি দাম কমিয়েও কার্যত বিক্রিতে গতি আসছে না। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা বিশ্বেই অর্থনীতিতে মন্দ গতি। তার প্রভাব পড়েছে ভারতেও। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে। বিলাসিতার চেয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাহগুলির উপর সরকারের ‘সেফটি নর্মস’ বা নিরাপত্তার বিধিনিষেধ এবং অতিরিক্ত কর চাপানো।
আবার ওলা-উবারের ব্যাপক বাড়বাড়ন্তও গাড়ি শিল্পে প্রভাব ফেলছে। মধ্যবিত্তদের অনেকেই যাঁরা গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তাঁদের অনেকেই নিজে গাড়ি কিনে তার রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয়ভার বহনের চেয়ে দরকারে ওলা-উবারের মতো অ্যাপ-ক্যাবে যাতায়াত পছন্দ করছেন। সব মিলিয়ে অধিকাংশ গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি কার্যত ধুঁকছে।
এই সঙ্কট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে উৎপাদন কমানো, ব্যায় সংকোচের পথে হাঁটছে অধিকাংশ সংস্থা। কেউ কেউ আবার বিকল্প জ্বালানি বা বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির মতো নানা পদক্ষেপ করছে। এই নানা পদক্ষেপের মধ্যেই অন্যতম কর্মী সংখ্যা কমানো। সেই রাস্তায় হেঁটেই চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা ৩০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করল মারুতি সুজুকি।
আরও পড়ুন: শোকের মধ্যে হাতসাফাই! জেটলির শেষকৃত্যে বাবুল সুপ্রিয়-সহ১১ জনের মোবাইল চুরি
আরও পড়ুন: ‘চুরি করে বিপর্যয় সামলানো যাবে না’, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে ভাগ বসানোয় কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের
চেয়ারম্যান আরসি ভার্গব বার্ষিক সাধারণ সভায় স্পষ্টই বলেন, সেফটি নর্মস এবং উচ্চ হারে করের ধাক্কায় গাড়ি উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। ফলে ঘাড়ে চেপেছে বোঝা। তাই ৩০০০ ভিত্তিক কর্মীর চুক্তি রিনিউ বা পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। কিন্তু ওই কর্মীদের পাওনা গন্ডা কী ভাবে মেটানো হয়েছে, কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ভার্গব।
তাহলে ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় কী? চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, মারুতি সুজুকি নতুন করে সিএনজি চালিত গাড়ি উৎপাদনে জোর দিচ্ছে। মারুতির একটি সূত্রের খবর, চলতি বছরেই অন্তত ৫০ শতাংশ সিএনজি চালিত গাড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারতের এই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy