মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তের বাজার ধরতে নির্মাণ শিল্পমহলের নতুন বাজি ‘স্কাইওয়াক’।
কলকাতায় আবাসন প্রকল্পে স্কাইওয়াকের ব্যবহার প্রথম করে সিদ্ধা গোষ্ঠী। এ বার সেই স্কাইওয়াককেই বিপণনের মূল অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা। খোলা আকাশের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার এই উচ্চবিত্ত বিলাসিতা এত দিন মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের ধরা -ছোঁয়ার বাইরে ছিল। সেই বিলাসিতাই এখন ক্রেতা জিতে নেওয়ার নতুন কৌশল সিদ্ধা গোষ্ঠীর।
আর এই কৌশল যে কাজে দিয়েছে তা প্রমাণ করে দিয়েছে এই নড়বড়ে বাজারেও ক্রেতাদের আগ্রহ। সিদ্ধা গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় জৈনের দাবি, বাড়তি পাওনার টানে ইতিমধ্যেই ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজারহাটে সিদ্ধা গ্যালাক্সিয়া-র হাত ধরেই কলকাতায় স্কাইওয়াকের যাত্রা শুরু। প্রকল্প বাজারে আসার পরে প্রতি মাসে ৫০টি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে।’’ ক্রেতাদের এই পছন্দ মাথায় রেখেই নির্মীয়মাণ চারটি প্রকল্পেই স্কাইওয়াক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। ১৫০ থেকে ৩৪০ ফিট উচ্চতায় তৈরি হচ্ছে এই পরিকাঠামো।
রাজারহাট ছাড়া ই এম বাইপাস ও বিটি রোডের প্রকল্পে বাড়তি খরচ করেও স্কাইওয়াক তৈরি করছে সিদ্ধা। সংস্থার দাবি, প্রকল্পের মাপ অনুযায়ী স্কাইওয়াক তৈরি করতে অতিরিক্ত ১৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। তবে এই খরচের জন্য ফ্ল্যাটের দাম বাড়াচ্ছে না সংস্থা। কারণ বিপণনের এটাই চমক। বরং বাজার দর থেকে বর্গ ফুট প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা কম নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি সংস্থার।
চারটি প্রকল্প মিলিয়ে প্রথম পর্যায়ে ৪০০০টি ফ্ল্যাট তৈরি হচ্ছে। যার সঙ্গেই থাকছে স্কাইওয়াকের সুযোগ-সুবিধা। স্কাইওয়াকে থাকছে সুইমিং পুল, জগিং ট্র্যাক, রেস্তোরাঁ, ক্লাব, অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে শুরু করে বাচ্চাদের খেলার জায়গা, বাগান ইত্যাদি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy