পর্যটন শিল্পকে উন্নত করার মতো বিপুল সম্ভার রয়েছে তাদের ঝুলিতে। সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়িত করতে তাই এখন পুঁজি টানতে চায় মিজ়োরাম। সে জন্য পশ্চিমবঙ্গে চোখ রেখেছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটি। কিন্তু সেখানকার প্রকৃতি এবং কম জনসংখ্যার কথা মাথায় রেখে পরিবেশবান্ধব এবং ভারসাম্যযুক্ত পর্যটনের বিকাশেই আগ্রহী রাজ্য সরকার। সম্প্রতি বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বার আয়োজিত এক সভায় বঙ্গের শিল্পমহলকে সেখানে বিনিয়োগ করার বার্তা দিতে এসে এ কথা জানিয়েছেন মিজ়োরামের মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, পরিকাঠামো, রেল, অভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহণ, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও লগ্নি প্রয়োজন।
বণিকসভাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রীতি এ সুরেকা আলোচনায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগসূত্রের ক্ষেত্রে মিজ়োরামের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে জানতে চান নগরোন্নয়ন, পরিকাঠামো, দক্ষতা বৃদ্ধি, হস্তচালিত তাঁত, হস্তশিল্প এবং পর্যটনের মতো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা। তাঁর দাবি, খেলনা শিল্পও সেই বাজার ধরতে আগ্রহী। এ জন্য সেখানে একটি মেলা আয়োজনের প্রস্তাব দেন তিনি।
সাক্ষরতার হারে দেশের অন্যতম অগ্রণী রাজ্য মিজ়োরাম। বাঁশ উৎপাদনে উত্তর-পূর্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং স্ট্রবেরি উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য। ওষুধ এবং সুগন্ধি তৈরির গাছের সম্ভারও সেখানে উল্লেখযোগ্য। শিল্পকে লালডুহোমার বার্তা, এই সব কিছুর দ্রুত বৃদ্ধির জন্য ক্ষেত্রগুলিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।